প্রসঙ্গত, এই মাসেরই ১৩ তারিখে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন এই বিধায়ক। সেদিন একটি জনসভা থেকে ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন এক মত্ত গাড়ি চালক নন্দিতার গাড়ি ঠুকে দিয়েছিল। আর এর ১০ দিন যেতে না যেতেই ফের এক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে বিধায়কের গাড়ি
তেলাঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতির বিধায়ক জি লাস্য নন্দিতা শুক্রবার ভোরে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। দুর্ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে তেলাঙ্গানার সাঙ্গারেডি জেলার পাতানচেরুতে আউটার রিং রোডে এই সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃত বিধায়কের বয়স মাত্র ৩৭ বছর ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, নন্দিতা হায়দরাবাদে ফিরছিলেন। সেই সময় ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ তাঁর গাড়িটি দুর্ঘটনার কলবে পড়ে। (আরও পড়ুন: ভোররাতে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন দীর্ঘদীন)
জানা গিয়েছে, মারুতি এক্সএল৬ মডেলের গাড়িতে করে ভ্রমণ করছিলেন সেকেন্দ্রাবাদ ক্যানটমেন্টের বিধায়ক। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর চালক। দুর্ঘটনায় নন্দিতার মৃত্যু হলেও চালক বেঁচে গিয়েছেন। তবে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার আগে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। গাড়িটিকে রাস্তায় নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে এদিক-সেদিক যেতে দেখা যায় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। এরপরই হাইওয়ের ধারে এক রেলিংয়ে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে সেই গাড়িটি। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিধায়কের।
উল্লেখ্য, নন্দিতার বাবা প্রয়াত জি সায়ান্নাও বিআরএস-এর বিধায়ক ছিলেন। বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ নন্দিতার। গতবছর সেকেন্দ্রাবাদ ক্যানটমেন্ট আসন থেকে বিআরএস-এর টিকিটে লড়েন নন্দিতা। গোটা রাজ্যে বিআরএস-এর অবস্থা খুব একটা ভালো না হলেও নন্দিতা নিজের আসনে জিতেছিলেন। এর আগে এই আসন থেকেই লাগাতার পাঁচবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁর বাবা সায়ান্না। তবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হয়েছিলেন সায়ান্না। এদিকে হায়দরাবাদ পুরসভার কর্পোরেটর হিসেবে তখন কাজ করছিলেন নন্দিতা। দলীয় রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন তিনি। তাই বাবার জিতে আসা আসনে মেয়েকেই টিকিট দিয়েছিলেন কেসিআর।