'সিআরপিএফ সদর দফতরের অনুমতি পাওয়ার পরই পাকিস্তানি তরুণীকে বিয়ে করেছি।' চাকরি হারিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ান মুনির আহমেদ।না জানিয়ে পাকিস্তানি তরুণীকে বিয়ে করা ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁকে এদেশে রাখার অভিযোগে সম্প্রতি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে সিআরপিএফ-এর ৪১ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল মুনির আহমেদকে।চাকরি থেকে বরখাস্ত সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র কর্তৃপক্ষ তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ফোনে বা অন্য কোনও ভাবে তাঁকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ জানাননি। (আরও পড়ুন: নারীর অধিকার অস্বীকার করে ভারতের মুসলিমদের জন্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বাংলাদেশে)
আরও পড়ুন: পাকিস্তান 'বদ অভ্যাসের দাস', LoC-তে জারি গোলাগুলি, 'শান্তির দূত' সাজলেন শেহবাজ
এই আবহে মুনির জানিয়েছেন, ‘সংবাদমাধ্যমে খবর থেকেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার কথা জেনেছি। তারপরে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠির মাধ্যমে আমাকে সিআরপিএফ-এর পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। চাকরি হারানোর কথা জেনে আমি এবং আমার পরিবার স্তম্ভিত। কারণ সদর দফতর থেকে অনুমতি পাওয়ার পরই আমি পাকিস্তানি তরুণীকে বিয়ে করেছি।' তিনি আরও জানান, চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবার আইনি সাহায্য নেবেন তিনি। আদালতেও মামলা করবেন। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানের আবদালির 'চোখরাঙানি' তো হাস্যকর! ভারতের 'অগ্নি'র ক্ষমতা জানেন?)
আরও পড়ুন-সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হতেই খরা পাকিস্তানে? স্যাটেলাইট ইমেজে বিশেষ ইঙ্গিত
মুনির দাবি করেন, ‘২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথমবার আমি বিয়ে করার পরিকল্পনার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। তখন আমাকে পাসপোর্ট, বিয়ের কার্ড, হলফনামা-সহ কিছু নথি জমা দিতে বলা হয়। আমি সে সমস্ত কিছু জমা দেওয়ার পর ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল আমাকে সদর দফতর থেকে বিয়ের করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।’ বিয়ের পর মুনির আহমেদ ৭২ নম্বর ব্যাটালিয়নে বিয়ের ছবি, নথি এবং বিবাহের শংসাপত্র জমা দেন। সে সময় তাঁকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, নো অবজেকশন সার্টিফিকেট-এর কোনও ব্যবস্থা নেই, কিন্তু নিয়ম মেনে সমস্ত নথি জমা দেওয়ায় এক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। (আরও পড়ুন: ৪ দিনের 'প্রাণ' বাকি পাক সেনায়, ভিখারি দশাতেই নাকি ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছে মুনির)
পাকিস্তান জঙ্গি দেশ! প্রায় সোজাসুজিই স্বীকার করে নিলেন খোদ প্রাক্তন মন্ত্রী
পাকিস্তানি তরুণী মিনাল খান ভারতীয় ভিসায় ২৮ ফেব্রুয়ারি ওয়াঘা-অটারি সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেন। মেয়াদ ছিল ২২ মার্চ পর্যন্ত। তবে, মার্চ মাসেই মিনাল এবং মুনির আহমেদ দীর্ঘমেয়াদি ভিসার জন্য আবেদন করেন এবং তার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। ছুটি শেষে ফেরার পর ২৫ মার্চ মুনির আহমেদকে সুন্দরবনি ব্যাটেলিয়ন সদর দফতরে রিপোর্ট করতে বলা হয়। কিন্তু মাত্র দুই দিনের মধ্যেই তাঁকে ৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়নে বদলি করে পাঠানো হয়, ন্যূনতম সময় না দিয়েই। এই প্রসঙ্গে মুনির বলেন, '২৯ মার্চ আমাকে সেখানে যোগ দিতে হয়। সেখানে অধিনায়ক এবং ডেপুটি অধিনায়কের সামনে ইন্টারভিউ দিই এবং সমস্ত নথিপত্রে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করি যে আমি একজন পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করেছি। এমনকি ব্যাটেলিয়নের তথ্য রেকর্ড বইতেও আপডেট করি।'