উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় জালিয়াতির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।২২ জন সাংসদের সই জাল করে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন কেরলের এক বাসিন্দা।আর এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে অভিযুক্তের মনোনয়ন। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-'আসলে বাবা-মা চাননি...,' নয়ডার গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক প্রাক্তন IPS
ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেরলের বাসিন্দা জোমন জোসেফ উপরাষ্ট্রপতি পদে লড়তে চেয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন।অভিযোগ, তাঁর প্রতি যে সাংসদদের সমর্থন রয়েছে তা প্রমাণ করতে বিরাট জালিয়াতি করেন জোসেফ।গত ২১ আগস্ট মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় জোসেফের কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ২২ জন লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদের সই-সহ মনোনয়ন জমা পড়ার পর স্কুটিনির সময় দেখা যায় সেখানে সাক্ষর রয়েছে ওয়াইএসআরসিপি সাংসদ মিথুন রেড্ডির। তাতেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। কারণ রেড্ডি বর্তমানে জেলবন্দি। এরপরই বিষয়টি রাজ্যসভার সচিবের নজরে আনা হয়। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করতেই জানা যায়, সেখানে বাকি যে সব সাংসদদের সাক্ষর রয়েছে সেগুলিও জাল। ওই ব্যক্তি যে সব সাংসদের নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলেই জানান। এরপরই বাতিল করা হয় জোসেফের মনোনয়ন।অভিযুক্ত জোসেফের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হবে তা স্পষ্ট না করা হলেও জানা যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। বস্তুত, উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দিতে হলে প্রার্থীর সমর্থনে লোকসভা এবং রাজ্যসভার কয়েক জন সাংসদের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন-'আসলে বাবা-মা চাননি...,' নয়ডার গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক প্রাক্তন IPS
গত ২১ জুলাই রাতে আচমকা উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়। তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। কোনও অনুষ্ঠানে বা প্রকাশ্য সভায় দেখা যায়নি তাঁকে। সোশাল মিডিয়ায় থেকেও উধাও। এদিকে, জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফার পর আগামী ৯ সেপ্টেম্বর হতে চলেছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যেখানে এনডিএ-র প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণ ও বিরোধীদের প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২১ আগস্ট। এই সময়কালে ৪৬ জন প্রার্থীর তরফে ৬৮টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। প্রাথমিক পর্যায়েই ১৯ প্রার্থীর ২৮টি মনোনয়ন খারিজ করা হয়েছে। বাকি ২৭ জন প্রার্থীর ৪০টি মনোনয়নের স্কুটিনি হয় গত ২২ আগস্ট। সেখানেই নজরে পড়ে এই জালিয়াতি।