শুক্রবার ভোরে ইরানে ইজরায়েলি হামলার পর ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফজল শেকারচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ইজরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে এই হামলার জন্য 'চড়া মূল্য' দিতে হবে। এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেছেন, ইজরায়েলকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। এই সব হুঁশিয়ারির মাঝেই ইরানের তরফ থেকে ইজরায়েলে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের ড্রোন হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তবে এখনও ইরানের এই হামলায় ইজরায়েলের কতটা কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানা যায়নি স্পষ্ট ভাবে। এর আগে তেহরানে ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হল বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেন সলামি এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির। (আরও পড়ুন: কী হয়েছিল বোয়িংয়ের বিমানে? এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন)
আরও পড়ুন: লড়াইয়ে দুই 'বন্ধু', ইরানে ইজরায়েলের হামলার পর কী বার্তা ভারতের?
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, 'অপারেশন রাইজিং লায়ন'-এর অংশ হিসেবে শুক্রবার ইজরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের ওপর হামলা চালায়। ইজরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সাইট, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র এবং সামরিক নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল। ইরানি গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশটির প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে। ইরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধের আশঙ্কায় ইজরায়েল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। নেতানিয়াহু একে 'ইজরায়েলের ইতিহাসের চূড়ান্ত মুহূর্ত' বলে অভিহিত করেছেন। (আরও পড়ুন: AI বিমান দুর্ঘটনায় জারি বাড়ছে মৃতের সংখ্যা,বোয়িংয়ের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন কতজন?)
রেকর্ড করা এক ভিডিয়ো বিবৃতিতে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, 'আমরা ইসরায়েলের ইতিহাসের একটি চূড়ান্ত মুহূর্তে আছি। কিছুক্ষণ আগে ইজরায়েল অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু করেছে। ইজরায়েলের অস্তিত্বের জন্য এবং ইরানের হুমকির বিরুদ্ধে এই অভিযান এই হুমকি দূর করতে যত দিন লাগবে ততদিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে আমরা অন্যদেরও রক্ষা করি। আমরা আমাদের আরব প্রতিবেশীদের রক্ষা করি। তারাও ইরানের বিশৃঙ্খলা ও হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে। ইরানের প্রক্সি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আমাদের পদক্ষেপের ফলে লেবাননে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সিরিয়ায় আসাদের খুনি সরকারের পতন ঘটেছে। ওই দুই দেশের মানুষের সামনে এখন সুযোগ এসেছে নতুন করে আরও ভালো ভবিষ্যতের দিকে পদক্ষেপ করার।' এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করেছে। তেহরান জুড়ে বাসিন্দাদের হতবাক করে দিয়েছে এই হামলা।