মাত্র একদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছিল পাকিস্তান। বলেছিল, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় তাঁর গুরুত্বপুর্ণ কূটনৈতিক ভূমিকা ছিল। কিন্তু রবিবার হঠাৎই পালটি খেয়ে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে আমেরিকার সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা করল ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন: ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে দিল ইরান, ভোর হতে না হতেই শোনা গেল পরপর বিস্ফোরণ
পাক বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই অঞ্চলে উত্তেজনার সম্ভাব্য বৃদ্ধিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ তারা জানায়, আমেরিকার এই হামলা করে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন করেছে। তেহরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে বৈধ বলেও উল্লেখ করে পাকিস্তান। ইরানের সঙ্গে প্রায় ৯০০ কিমি সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের।
তাদের আরও বক্তব্য, চলমান আগ্রাসনের জেরে উত্তেজনা ও হিংসা যেভাবে বাড়ছে, তা শুধু এই অঞ্চল নয়, গোটা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।’ প্রসঙ্গত, ঠিক আগের দিনই পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করেছিল, তারা ট্রাম্পকে শান্তির নোবেলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করতে যাচ্ছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের হোয়াইট হাউস সফরের পরই এই সিদ্ধান্ত আসে। ট্রাম্পকে প্রশংসা করে ইসলালামাবাদ বলেছিল, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় তিনি কার্যকর কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ করেছেন।
পড়ুন: গাজা যুদ্ধ, ইরানের হামলার আবহে নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধেই পথে ৪৫ হাজার ইজরায়েলি!
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাওঁয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা করে। জবাবে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা ব্যর্থ হয়। পাল্টা ভারতও পাকিস্তানের বিমানঘাঁটি নিশানা করে। শেষে ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।
রবিবার ট্রাম্প দাবি করেন, আমেরিকার বিমান বাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র ফোরদো, নাতানজ ও এসফাহানে সফল হামলা চালিয়েছে। তিনি ইরানকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের দাঙ্গাবাজ’ বলে কড়া বার্তাও দেন। এমনকী আরও বড় হামলা করার হুঁশিয়ারি দেন। সেই আবহে পাকিস্তানের এরকম অবস্থান সামনে এল।