আবারও মাঝ আকাশে বড় বিপদের মুখে বিমান।১৬৯ জন যাত্রী নিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা থেকে কোনও মতে রেহাই পেল পাটনা থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিগোর বিমান। টেক অফের পরপরই বিমানটিতে পাখির সঙ্গে ধাক্কায় বিমানটি। এরপরেই পাটনা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে বিমান। (আরও পড়ুন: ফের টিটিপির হামলা পাক সেনার ওপর, একাধিক জওয়ানকে হত্যার দাবি)
আরও পড়ুন: রাজস্থানের চুরুতে ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান, আশেপাশে মিলল দেহাবশেষ
পাটনার জয়প্রকাশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল ৮ টা ৪২ মিনিটে পাটনা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল ইন্ডিগোর বিমান। বিমানে মোট ১৬৯ জন যাত্রী ছিলেন।কিন্তু ওড়ার মুখেই একটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা খায় বিমানটি। ওই ধাক্কার ফলে ইঞ্জিনে বিশেষ কম্পন অনুভব করেন পাইলট। এরপরেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে জরুরি অবতরণ করার অনুমতি চেয়ে বার্তা পাঠান তিনি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঙ্গে সঙ্গেই ফাঁকা করে দেওয়া হয় রানওয়ে। নিরাপদেই জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। (আরও পড়ুন: গুজরাটে মাঝখান গিয়ে ভেঙে পড়ল একটি সেতু, নদীতে পড়ল একাধিক গাড়ি, মৃত বহু)
আরও পড়ুন-ডাল থেকে দুর্গন্ধ! ক্যান্টিন কর্মীকে বেধড়ক মারধর, বিতর্কে শিবসেনা MLA
অবতরণের পরেই বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয় ১৬৯ জন যাত্রীকে। যাত্রীরা সকলে নিরাপদ আছেন বলে জানা যাচ্ছে।বিমানটি পরীক্ষা করে দেখা যায, ভালই ক্ষতি হয়েছে ইঞ্জিনের। বিমানে থাকা যাত্রীদের দিল্লি পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের মতে, 'পাখির ধাক্কার পর বিমানের ইঞ্জিনে কম্পন লক্ষ্য করা যায়, যার কারণে পাইলট বিমানটিকে পাটনায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। জরুরি সতর্কতা জারি করা হয় এবং সকাল ৯ টা ০৩ মিনিটে বিমানটি রানওয়ে ৭-এ নিরাপদে অবতরণ করে।' (আরও পড়ুন: ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে কবে? জানাল রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: পাক-চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশ, কী বলছেন ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ?
জানা গেছে, পাটনা বিমানবন্দরের কাছে ফুলওয়ারিশরিফে একটি কসাইখানা রয়েছে। সেখানে পাখিদের উপদ্রব একটু বেশি। তার জেরে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।বিমানবন্দরের তরফে বারবার এ নিয়ে আবেদনও জানানো হয় সরকারের কাছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি।দেশের যে ১১টি বিমানবন্দর 'ক্রিটিক্যাল' হিসেবে চিহ্নিত, পাটনা বিমানবন্দর তার মধ্যে অন্যতম। একাধিক বাধা-বিপত্তির মধ্যে সেখানে উড়ান পরিষেবা চালু রয়েছে। বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্যও বেশ কম। বিহার সরকারের তরফেও কেন্দ্রের কাছে সেই মর্মে আবেদন জানানো হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের টিম পাঠিয়ে পরিস্থিতি তদারকির আবেদন জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। বিহারের মুখ্যসচিব অমৃতলাল মীনা সেই নিয়ে জুন মাসেই চিঠি লেখেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি।
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে কোনও রাফাল ভেঙে পড়ার কথা কি বলেছেন CEO? এবার নয়া দাবি করল দাসোঁ
উল্লেখ্য, আহমেদাবাদে ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান ভেঙে পড়ার পরে গত এক মাসে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে বিমান সংস্থাগুলি। কখনও তেল ফুরিয়ে যাওয়ায়, কখনও বোমাতঙ্কের জেরে একাধিক বিমানকে জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছে। মঙ্গলবারই আকাশপথে যাত্রা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সংসদীয় সমিতি। যাত্রী সুরক্ষার উপরে বিশেষ জোর দেওয়ার জন্য ডিজিসিএ ও বিমান সংস্থাগুলিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।