দুর্গন্ধ ছাড়ছিল ডালে। সেই ডাল মুখে দিতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন মুম্বইয়ের শিবসেনা বিধায়ক সঞ্জয় গায়কোয়াড়। রাগে এমএলএ ক্যান্টিনের এক কর্মীকে চড় মারতে থাকেন তিনি। আর চার্চগেটের আকাশবাণী এমএলএ ক্যান্টিনে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, একজন বিধায়কের এমন আচরণ একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। (আরও পড়ুন: পাক-চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশ, কী বলছেন ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ?)
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে কবে? জানাল রিপোর্ট
দিন কয়েক আগেই মহারাষ্ট্রের নব নির্মাণ সেনা কর্মীরা মারাঠি না বলার জন্যে একজন দোকানদারকে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করেছে। এই ঘটনাতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল মহারাষ্ট্রে। এবার শিবসেনা বিধায়কের কাণ্ডে হতবাক সকলে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের চার্চগেটের আকাশবাণী এমএলএ ক্যান্টিনে। যেখানে পরিবেশিত ডালের স্বাদ নিয়ে ক্যান্টিনকর্মীর সঙ্গে শিবসেনা বিধায়কের বচসা বাধে। অভিযোগ, জনসমক্ষে ডালের স্বাদ এতটাই জঘন্য খেতে হয়েছিল যে, ক্ষুব্ধ হয়ে ক্যান্টিন কর্মীর মুখে ঘুষি মারেন শিবসেনা বিধায়ক।তিনি এতটাই জোরে মেরেছিলেন যে, ক্যান্টিন কর্মী আঘাত সইতে না পেরে মেঝেতে পড়ে যান। সম্পূর্ণ ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। (আরও পড়ুন: ওষুধে ২০০%, তামার উপর ৫০% শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প, কী প্রভাব পড়বে ভারতের ওপর?)
আরও পড়ুন-বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় মেধার জয়জয়াকার! অ্যাপলের নতুন অপারেশনস প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত
জানা গিয়েছে, বুলধানার বিধায়ক সঞ্জয় ওই ক্যান্টিনে গিয়ে একটি থালি অর্ডার করেছিলেন। অর্ডার দেওয়ার সময় তিনি দেখতে পান যে ডাল থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। এরপর কোমরে তোয়ালে জড়িয়ে বিধায়ক ক্যান্টিনে যান এবং ডাল প্রস্তুতকারী কর্মীদের জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেন। এরপর তিনি লোকজনকে ডেকে প্যাকেটের গন্ধ নিতে বলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, 'এই ডাল খেয়েই আমার দিন কয়েক ধরে পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি হচ্ছে। আবারও যে এই ডাল আমাকে কে দিয়েছে? এটা প্যাক করে এক্ষুনি আমি খাদ্য বিভাগকে ফোন করব। তুমি একজন বিধায়ককে দুর্গন্ধযুক্ত ডাল খাওয়াচ্ছ, অন্যদেরও কী এই ডাল দিচ্ছ? এটা খেয়ে একজন মানুষ মারা যেতে পারে।' এরপরেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বিধায়ক। ক্যান্টিন অপারেটের মুখে চড় মারেন তিনি। আরও দুটি চড় মারা হয়।এরপর বিধায়ক ক্যান্টিন অপারেটরকে জোরে জোরে ঘুষি মারেন। যাতে তিনি মেঝেতে পড়ে যান।
আরও পড়ুন: গুজরাটে মাঝখান গিয়ে ভেঙে পড়ল একটি সেতু, নদীতে পড়ল একাধিক গাড়ি, মৃত বহু
এ বিষয়ে সাফাই দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বিধায়ক বলেছেন, 'ডালটি বাসি ছিল না, পচা ছিল। আমি ডাল, ভাত এবং দুটি রুটি চেয়েছিলাম। খেতে শুরু করলাম এবং কয়েকটা খাবার পরেই বমি বমি ভাব শুরু হয় আমার। শরীর খারাপ লাগতে শুরু করে। আমি পোশাকও পরিবর্তন করিনি। আমি ক্যান্টিনে গিয়ে তাদের গন্ধ নিতে বললাম এবং তারপর বললাম এটা খুব খারাপ। আমি ম্যানেজারকে ফোন করলাম, তিনি বললেন এটা খাওয়ার যোগ্য নয়। গত কয়েক বছর ধরে, আমি তাদের বলেছি আমাকে তাজা খাবার দিতে। তাদের মুরগি এবং ডিমের মজুদ কয়েকদিনের পুরনো। তারা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে খেলছে। আর যখন মানুষ অভিযোগ করে, তারা শোনে না।' তবে একজন বিধায়কের এই আচরণ কী শোভনীয়? এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'আমি একজন বিধায়ক এবং একজন যোদ্ধাও। বারবার চেষ্টা করার পরেও যখন কেউ বুঝতে না পারার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমি বালাসাহেব ঠাকরের শেখানো ভাষা ব্যবহার করব। আমি জুডো, জিমন্যাস্টিকস, কারাতে এবং কুস্তিতে একজন চ্যাম্পিয়ন। আমি গান্ধীবাদী নই। আমার কোনও অনুশোচনা নেই।'