ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শুক্রবার রাতে সংঘাতের পারদ তুঙ্গে ওঠে। সেদিন ভারতের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত বরাবর তুমুল ড্রোন বর্ষণ করে পাকিস্তান। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের অন্দরে পর পর ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। তারমধ্যে ছিল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির নুর খান বিমানঘাঁটি। শনিবার রাতে ভারতের ওই অভিযানের পর সংঘর্ষ বিরতি ঘিরে তুমুল তৎপরতা শুরু হয় আমেরিকার তরফে। তারপরই আসে সংঘর্ষ বিরতি। এদিকে, বেশ কিছু রিপোর্টে বারবার পাকিস্তানের কিরানা হিলসের নাম উঠছে। উঠছে পরমাণু প্রসঙ্গ। তা নিয়ে এদিন মুখ খুলল সেনা
দিল্লিতে এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি প্রেস ব্রিফ করা হয়। সেখানে নৌসেনা, বায়ুসেনা সহ ভারতীয় সেনার তাবড় অফিসাররা ছিলেন। সেই প্রেস ব্রিফেই সেনার কাছে প্রশ্ন যায় যে, ভারত কি পাকিস্তানের কিরানা হিলসে হামলা করেছে? ওঠে পরমাণু প্রসঙ্গ। পুরো প্রশ্ন শুনে এয়ার মার্শাল একে ভারতী বলেন,'ধন্যবাদ আমাদের জানানোর জন্য যে পাকিস্তানের কিরানা হিলসে পরমাণু ইনস্টলেশন আছে। আমরা এটা জানতাম না।' এরই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট জবাব দিয়ে দেন,'আমরা কিরানা হিলসে স্ট্রাইক করিনি, সেখানে যাই থেকে থাকুক।'
( শুধু দেশের নিরাপত্তাতেই কতগুলি স্যাটেলাইট কাজ করছে? ভারত-পাক সংঘাতের মাঝে মুখ খুললেন ইসরো চিফ)
( পাকিস্তানের সঙ্গে ‘সিজ ফায়ার’র পর বুদ্ধপূর্ণিমায় মোদী, শাহ, জয়শংকররা দিলেন কোন বার্তা?)
( ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’র পরই সন্ত্রাস ইস্যুতে নড়েচড়ে বসল ঢাকা! এল নয়া বিধান, টার্গেটে আওয়ামি?)
কিরানা হিলস:-
পাকিস্তানের এক পার্বত্য এলাকা হল এই কিরানা হিলস। স্থানীয়রা একে ‘ব্ল্যাক মাউন্টেন’ বলে চেনে। এটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিভাগের আওতায় থাকা এলাকা। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সারগোধা জেলায় অবস্থিত এইটি। প্রসঙ্গত, এই সারগোধারই মুশাফ এয়ারবেসে স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনা। প্রশ্ন উঠতে থাকে, তাহলে কি কিরানা হিলসে কোনও স্ট্রাইক করেছে ভারত? প্রশ্ন ওঠে, কিরানা হিলসেই কি পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার ইনস্টলেশন রয়েছে? সেই প্রশ্ন ঘিরে এদিন ভারতীয় সেনার কাছ থেকে এল জবাব। ভারতীয় সেনা সাফ জানিয়েছে, কিরাবা হিলসে তারা কোনও হামলা চালায়নি। ফলে যাবতীয় জল্পনায় ভারতীয় সেনা জল ঢেলেছে কিরানা হিলস নিয়ে।