পহেলগাঁওতে গত ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানকে সদ্য মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারত। ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দুপুরের পাল্টা জবাবে সদ্য ৭ মের রাতে ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর।’ পাকিস্তানের বুকে তীব্র কাঁপুনি ধরিয়ে সেখানের একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি, বায়ু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এরপরই সন্ত্রাস ইস্যুতে দেখা গেল বাংলাদেশ সরকারকে বড় পদক্ষেপ করতে। সেদেশে সন্ত্রাস ইস্যুতে এল নয়া আইনি বিধান।
সন্ত্রাস ইস্যুতে যখন পাকিস্তানকে যোগ্য দিয়ে দিল্লি সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হয়েছে,তখনই দক্ষিণ এশিয়ার আরও এক দেশ তথা ভারতের পূর্বপ্রান্তের প্রতিবেশী বাংলাদেশ সন্ত্রাস ইস্যুতে নিল পদক্ষেপ। বর্তমানে কূটনৈতিক আঙিনায় পাকিস্তানের সঙ্গে বিশেষ সখ্যতায় থাকা বাংলাদেশের ইউনুস সরকার বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সত্ত্বার (সংগঠন) যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা নিয়ে এই নয়া বিধান এসেছে। এই নয়া আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে কোনও ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ওই ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্ত্বাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। আগে বাংলাদেশে যে আইন ছিল, তাতে সত্ত্বার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কথা বিধানে ছিল না। প্রসঙ্গত, সন্ত্রাস নিয়ে হঠাৎই দেখা যায় বাংলাদেশের বুকে তোরজোড়। অন্তত মিডিয়া রিপোর্টের তথ্য তাই বলছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র খবর অনুযায়ী, রবিবারই ঢাকায় সেদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় মহম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে আয়োজিত হয় হাইভোল্টেজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদনের পর রাতেই অধ্যাদেশ জারি করে দেয় বাংলাদেশ।
( শুধু দেশের নিরাপত্তাতেই কতগুলি স্যাটেলাইট কাজ করছে? ভারত-পাক সংঘাতের মাঝে মুখ খুললেন ইসরো চিফ)
জারি হওয়া ওই অধ্যাদেশ বলছে, সন্ত্রাসী কাজে সত্ত্বার কার্যক্রম যেমন নিষিদ্ধ করা যাবে, তেমনই ওই সত্ত্বা বা তার পক্ষে কিম্বা সমর্থনে প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা দেওয়া নিষিদ্ধ হবে।
টার্গেটে আওয়ামি?
বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশ সরকারের এই অধ্যাদেশ জারির ফলে আওয়ামি লিগ ব্যাকফুটে যেতে পারে। কারণ আওয়ামি লিগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই প্রেক্ষাপটে সে বিষয়ে যেকোনও সময় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বাংলাদেশে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, আওয়ামির অভিযুক্ত সদস্যদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ। সেই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ।