
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
মায়ানমারে আং সান সু কি সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে ভারত। বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে তোলার সিদ্ধান্তও নিয়েছে দিল্লি।
সুকি সরকারের বিরুদ্ধে গত বছরের নির্বাচনে কারচুপির তদন্ত করা হয়নি অভিযোগ তুলে সোমবার মায়ানমারের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি অবস্থায় দেশের ক্ষমতা আপাতত তাদের হাতেই থাকছে। উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে সেনা সমর্থিত দলের বিরুদ্ধে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়ে মায়ানমারের সিংহাসন ধরে রাখে সু কি-র দল।
বৃহস্পতিবার মায়ানমার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘ভারত ও মায়ানমার প্রতিবেশী এবং দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও মানবিক বন্ধন রয়েছে। এই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে বাণিজ্যিক, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আদানপ্রদান মারফৎ।’
তিনি বলেন, ‘এই কারণে আমরা ওই দেশের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়ার দরুণও আমরা বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন।’
মায়ানমার সেনার অভ্যুত্থানে সে দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগে ভাটা পড়েছে এবং কুড়িটিরও বেশি আঞ্চলিক গোষ্ঠীর কয়েক দশকের পুরনো বিবাদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে গভীর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মায়ানমারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও।
বৃহস্পতিবার থেকে মায়ানমারে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ক্ষমতালব্ধ সামরিক সরকার। যদিও তার মাঝেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে সংগঠিত প্রতিবাদের উদ্যোগ আগেই নিয়েছিল বিরোধীরা।
পূর্বতন রাষ্ট্রীয় প্রধান সুকি-র বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে আমদানি করা বিদেশি ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগ এনেছে মায়ানমারের জুন্টা সরকার। সেই অভিযোগে তাঁকে ১৫ দিনের জন্য গৃহবন্দি রাখা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের পরেই ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, আইন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports