প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ মেলা। এই মেলায় অংশ নিয়েছেন কোটি কোটি সাধু সন্ন্যাসী, পুণ্যার্থীরা। সেই মহাকুম্ভ মেলায় এক ভারতীয় যুবকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন এক গ্রিক মহিলা। রবিবার পেনেলোপ নামে একজন গ্রীক মহিলা ভারতীয় যুবক সিদ্ধার্থকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দম্পতি বলেন, তারা বিয়েকে পার্টি এবং ড্রিংক করার সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করার পরিবর্তে আরও ঐশ্বরিক এবং আধ্যাত্মিক করার জন্য ধর্মীয় এই ক্ষেত্রকে বেছে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘সনাতনের জয়’, মহাকুম্ভে এসে ত্রিবেণী সংগমে ডুব দিলেন রাজনাথ, প্রশংসা যোগীর
জানা গিয়েছে, বিয়েতে কন্যাদান অনুষ্ঠানটি সারেন স্বামী যতীন্দ্রানন্দ গিরি। কনের মা এবং অন্যান্য আত্মীয়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যতীন্দ্রানন্দ বলেন, কনে কয়েক বছর আগে সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য গ্রহণ করেছিলেন এবং ভগবান শিবের ভক্ত। তিনি জানান, পাত্র সিদ্ধার্থও তাঁর ভক্ত। তিনি যোগব্যায়াম ছড়িয়ে দিতে এবং সনাতনের সেবা করতে বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। তাই ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে এখানে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন তারা। বিয়ের পর কনে বলেন, ‘একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ, আধ্যাত্মিক উপায় দেখে খুব ভালো লাগলো।’পেনেলোপ তার অভিজ্ঞতাকে ‘শব্দের সীমা পেরিয়ে যাদুকর’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, নতুন সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পেরে তিনি উত্তেজিত।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনও ভারতীয় বিয়েতে যোগদান করিনি। আর আজ আমি কনে ছিলাম। তাই সবকিছুই আমার কাছে নতুন। আমি আধ্যাত্মিক উপায়ে বিয়ে করেছি।’ সিদ্ধার্থ বলেন, তারা সবচেয়ে খাঁটি পদ্ধতিতে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তারজন্য প্রয়াগরাজকে বেছে নিয়েছিলেন। এই সময়ে যে এটি শুধু দেশ বা বিশ্বের নয় বরং মহাবিশ্বের সর্বোত্তম স্থান। এই দম্পতি মহাকুম্ভ মেলার শেষ অবধি সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা আগামী ২৯ জানুয়ারি পবিত্র স্নান সারবেন। পেনালোপ বলেন, ‘আমার মা এবং আমি খুব খুশি হয়েছি। এমন কিছু জিনিস আছে যা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে, যেমন বিবাহ হল পার্টি করার আর মত্ত হওয়ার একটি সুযোগ। তবে আমাদের জন্য, এটি ঐশ্বরিক ছিল।’ পেনেলোপ জানান, আগে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু, যখনই তিনি অনুভব করেন যে সবকিছুই সনাতন ধর্ম থেকে আসে তখন তিনি সনাতন গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, বিয়ের পর তিনি ভারতেই থাকতে চান।