মুসকান শর্মা
হায়দরাবাদের একটি স্টার্টআপ সংস্থা।
ডেনভার নামে এক গোল্ডেন রিট্রিভারকে চিফ হ্যাপিনেস অফিসার (সিএইচও) হিসেবে নিয়োগ করেছে ওই সংস্থা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। ইতিমধ্যেই নেটপাড়ার মন জয় করেছে ওই সারমেয়।
হারভেস্টিং রোবোটিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রাহুল আরেপাকা একটি লিঙ্কডইন পোস্টের মাধ্যমে তাদের টিমের নতুন সদস্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই নেটপাড়ার মন জয় করেছে এই গোল্ডেন রিট্রিভার।
পোস্টে লেখা হয়েছে, 'আমাদের নতুন হায়ার, ডেনভার - চিফ হ্যাপিনেস অফিসারের সঙ্গে আলাপ করুন। ‘সে কোডিং করে না। সে পরোয়া করে না। মন একেবারে চুরি করে নেয় এবং একেবারে চাঙা করে দেয়। এছাড়াও, আমরা এখন পেট ফ্রেন্ডলি। সেরা সিদ্ধান্ত। যাইহোক এটি কোম্পানির সেরা সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে।’
আরেপাকা, যার সংস্থা হারভেস্টিং রোবোটিক্স কৃষকদের আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করার জন্য লেজার-আগাছা প্রযুক্তিকে প্রয়োগ করে, তিনি বলেছিলেন যে ডেনভারকে অফিসে নিয়ে আসা এবং তাদের অফিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে পেট ফ্রেন্ডলি করা 'আমাদের নেওয়া সেরা সিদ্ধান্ত।
লিঙ্কডইনে এই পোস্ট করার পরে হাজার হাজার লাইক করেছে। এই কুকুরটিকে দেখে অনেকেরই বেশ ভালো লেগেছে।
একজন ব্যবহারকারী মজা করে লিখেছেন, ‘সবাইকে খুশি করার দায়িত্ব নিয়ে সিএইচও ক্লান্ত বলে মনে হচ্ছে,’ অন্য একজন লিখেছেন, চারটি থাবার, ০ স্ট্রেস এবং১০০ শতাংশ লেজ-দোলানো ইতিবাচকতা! চমৎকার উদ্যোগ।
অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী অন্যান্য সংস্থাগুলিকে অনুরূপ সিএইচও আনার আহ্বান জানিয়েছেন। ‘আমাদের আরও সিএইচও দরকার - গ্লোবাল ম্যান্ডেট এবং সম্ভবত নিখুঁত আরটিও দৃষ্টিভঙ্গি,’ তাদের মধ্যে একজন মন্তব্য করেছিলেন।
আরেকজন মজা করে লিখেছেন, 'আমি আমার সিট ছেড়ে উঠতাম না, ওকে আমার সিট ছাড়তে দিতাম না।
মূলত কর্মচারীদের মধ্য়ে যাতে স্ট্রেস দূর হয় সেকারণে এই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অফিস হচ্ছে পেট ফ্রেন্ডলি। এর মাধ্য়মে কর্মচারীরাও বেশ খুশিতেই থাকছে।
হিউম্যান অ্যানিমেল বন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচএবিআরআই) এর গবেষণা অনুসারে, পেট ফ্রেন্ডলি কর্মক্ষেত্রে ৮৭ শতাংশ কর্মচারী তাদের সংস্থার সাথে থাকার সম্ভাবনা বেশি এবং ৯১ শতাংশ তাঁদের কাজের সঙ্গে আরও বেশি জড়িত বলে অনুভব করেন।