'আমি কোনও উদ্দেশ্যসাধনের উপায় খুঁজছি না। যা ন্যায্য আমি তাই চাইছি।' ভারত-সহ একাধিক দেশের উপর শুল্ক আরোপ নিয়ে মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেছেন ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি। আর তারপরেই বিভিন্ন দেশের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
পেনসিলভেনিয়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, পারস্পরিক শুল্ক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর বাড়তি অর্থ আসবে। আর এই বাড়তি অর্থের মাধ্যমে তিনি দেশের ঋণ পরিশোধ করবেন।একই সঙ্গে তিনি তার পূর্বসূরী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগও তোলেন। তাঁর কথায়, 'আমি কোনও উদ্দেশ্যসাধনের উপায় খুঁজছি না। যা ন্যায্য, আমি তাই চাইছি। যেখান থেকে সম্ভব এবং যতটা সম্ভব আমরা পারস্পরিক শুল্ক আদায় করব। কখনও কখনও তা ওদের সামর্থ্যের বাইরেও চলে যেতে পারে। হাজার হাজার কোটি ডলার আমাদের দেশে আসতে চলেছে।’ ট্রাম্প এই মন্তব্য এমন সময় করেছেন, যখন বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।পাশাপাশি ভারত-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক পরিণতি! ইয়েমেনের উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারালেন ৬৮ অভিবাসী, নিখোঁজ ৭৪
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে সমস্ত দেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, তাদের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক নেওয়া হবে। অন্যান্য দেশের পণ্য থেকেও নেওয়া হবে ১০ শতাংশ শুল্ক। এরপর ২ এপ্রিল শুল্কের পরিমাণ ঘোষণা করে বিভিন্ন দেশের তালিকা প্রকাশ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু পরে তা ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর শুল্কের সময়সীমা নির্ধারিত হয় আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশ বাণিজ্য নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ পেয়ে যায়।বেশ কয়েকটি দেশের ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষরও করে। তারপর নতুন করে শুল্কের পরিমাণ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সম্প্রতি ভারতের উপর তিনি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। তবে আলোচনার দরজা এখনও খোলা রেখেছেন।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক পরিণতি! ইয়েমেনের উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারালেন ৬৮ অভিবাসী, নিখোঁজ ৭৪
এই আবহে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এক জনসভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, 'বিশ্বজুড়ে আজ এক অস্থির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চলছে। এই সময়ে প্রতিটি দেশ নিজের স্বার্থ রক্ষায় মনোযোগী। ভারতও তার অর্থনৈতিক স্বার্থকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা চাই ভারত বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হোক। তাই এখনই শুধু ভারতীয়দের তৈরি পণ্য কেনার প্রতিজ্ঞা নেওয়ার সঠিক সময়।'