
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
প্রচারে গিয়ে নেতাদের বহু সময়ই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। নেতাদের জিনিস খোয়া যাওয়াও খুব একটা অস্বাভাবিক বিষয় নয়, কিন্তু অভিযোগটা যদি উল্টো হয়? এবার তামিলনাড়ুতে ডিএমকে নেতার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।অভিযোগ, এক মহিলা কর্মীর হাত থেকে বালা চুরি করার চেষ্টা করছিলেন ওই নেতা। বিজেপির তরফে সেই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: শরীরে-পোশাকে লুকিয়ে ১৪.৮ কেজি সোনা পাচারের চেষ্টা, গ্রেফতার দক্ষিণী অভিনেত্রী)
তামিলনাড়ুর বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই একটি ভিডিও পোস্ট করেন।যেখানে রাজ্যের শাসক দল দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাজাগাম বা ডিএমকে-র নেতা তথা কুনুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হুসেন এক মহিলার হাত থেকে বালা খুলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, সকলে মিলে হিন্দি ভাষার বিরুদ্ধে শপথ নিচ্ছেন। সেখানেই ডিএমকে নেতাকে দেখা যায়, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলার হাত থেকে বালা খোলার চেষ্টা করছেন। অপর এক মহিলা ওই নেতার হাত সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তিনি ফের একই কাজ করার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা ইস্যুতে মুখ খুললেন ইউনুস, বল ঠেললেন ভারতের কোর্টে
বিজেপি নেতা আন্নামালাই ওই ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, 'ডিএমকে মুখোশধারী চোরে ভর্তি। থিরুট্টা (চোর) ও ডিএমকে-কে আলাদা করা যায় না!' ইতিমধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। তোলপাড় তামিল রাজনীতিও। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর কেউ প্রশ্ন তুলেছেন যে কীভাবে দলের বড় নেতাদের সামনে দাঁড়িয়েই এমন কাজ করল ওই কাউন্সিলর। কেউ আবার সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'বাকি দলে ১০ শতাংশ নেতা-কর্মীরা মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, আর ডিএমকে-তে ৯০ শতাংশ নেতাই মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।'
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তিনি জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুর বাসিন্দাদের উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে রুখবেন তাঁরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এডিএমকে-ও ইতিমধ্যে ‘হিন্দি আধিপত্যের’ বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির অন্তর্গত তিন ভাষা নীতিতে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীরা তিনটি ভাষা বাধ্যতামূলক ভাবে শিখবে ইংরেজি, হিন্দি এবং স্থানীয় ভাষা। তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই দু’টি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক ইংরেজি এবং স্থানীয় ভাষা। তিন ভাষা নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে হিন্দি শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে তামিলনাড়ু, তেলাঙ্গানার মতো দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি থেকে অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports