সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে যে কেবলমাত্র সংরক্ষণের সুবিধা নেওয়ার জন্য যদি ধর্মান্তকরণ হয়ে থাকে আর তার পেছনে যদি বাস্তবিক কোনও ধর্মীয় বিশ্বাস না থাকে তবে সেটা সংবিধানের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল, আর মহাবেদনের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছেন। আসলে এক মহিলা খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন পরে তিনি কোটার সুবিধা পাওয়ার জন্য চাকরির সুবিধা পাওয়ার জন্য হিন্দু ধর্মে চলে আসেন। তবে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁর এসসি সার্টিফিকেট দেওয়ার আবেদন নাকচ করে দেয়। এদিকে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায়কে বহাল রেখেছে।
সি সেলভারানি এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন হিন্দু আর মা খ্রীষ্টান। তিনি জন্মের পরেই খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এদিকে ২০১৫ সালে পুদুচেরিতে আপার ডিভিশন ক্লার্কের পদে তিনি আবেদন করেছিলেন। আর তখনই বাবার জাতির কথা উল্লেখ করে তিনি কাস্ট সার্টিফিকেট চান। কারণ তার বাবা ছিলেন এসসি। এদিকে একাধিক প্রমাণে দেখা যায় ওই মহিলা খ্রীষ্টান ধর্ম পালন করেন। চার্চে যান। অথচ তিনি নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করছেন। বিচারপতি মহাদেবন ২১ পাতার রায় লিখেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, এই ধর্মান্তকরণ কেবলমাত্র ধর্মের কিছু বিষয় রয়েছে সেই অনুপ্রেরণা থেকে হতে হবে।
তবে যদি এই ধর্মান্তকরণ কেবলমাত্র সংরক্ষণের সুবিধা নেওয়ার জন্য হয়ে থাকে, অন্য ধর্মের প্রতি বিশ্বাস যদি তার মধ্যে একেবারেই না থাকে তবে এটাকে অনুমোদন দেওয়া হবে না। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যারা খ্রীষ্টধর্মে চলে যাচ্ছেন তাঁরা জাতিগত ধারণটা হারাচ্ছেন। তবে ফের ধর্মান্তকরণের পেছনে নির্দিষ্ট প্রমাণ থাকা দরকার।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কেবলমাত্র এসসির কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য তিনি হিন্দু ধর্মের আওতায় রয়েছেন বলে দাবি করাটা ঠিক হবে না। কারণ তিনি নিয়মিত খ্রীষ্ট ধর্ম পালন করছেন.