জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন পড়ুয়াকে আজ সকালে ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ। গতকাল পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের পর পড়ুয়াদের আটক করা হয়েছিল। ছ'ঘণ্টারও বেশি সময় তাঁদের থানায় রাখা হয়েছিল।সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর প্রতিবাদে গতকাল দক্ষিণ দিল্লির দিকে মিছিল করে যাচ্ছিলেন বিক্ষোভকারী। সেই সময় মিছিল আটকায় পুলিশ। তাদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের দাবি, মিছিল থেকে পাথর ছোড়া হচ্ছিল। একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা। কমপক্ষে চারটি দিল্লি পরিবহন নিগমের বাসে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করা হয় বলে দাবি পুলিশের। পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস।খণ্ডযুদ্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে কয়েকজন পড়ুয়াকে আটক করে পুলিশ। যদিও জামিয়ার পড়ুয়াদের অভিযোগ, “বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ। তছনছ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি। লাইব্রেরিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। তারপর পড়ুয়াদের আটক করা হয়।"১৬ জন পড়ুয়াকে ক্যাম্পাস চত্বরের নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানায় রাখা হয়। ৩৫ জনকে রাখা হয় কালকাজি থানায়। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব) চিন্ময় বিসওয়াল বলেন, "কালকাজি থানায় আটক ৩৫ জন পড়ুয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।" কয়েকজন জামিয়া পড়ুয়ার দাবি, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানায় আটক ১৫ জনকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্নাতকোত্তর পড়ুয়া ঋষভ জৈন জানান, আটক পড়ুয়াদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁদের অ্যাপোলা জাসোলা হাসপাতাল ও এইমস ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।আটক সহপাঠীদের মুক্তির দাবিতে গতরাতে দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে জড়ো হন পড়ুয়ারা। দেওয়া হয় স্লোগান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, রবিবারের হিংসায় জামিয়ার পড়ুয়ারা ছিলেন না। বহিরাগতদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেধেছিল।