দেশজুড়ে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। এবার চোখ রাঙাচ্ছে সক্রিয় ওমিক্রনেরই একাধিক সাব ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। আর তারমধ্যেই চণ্ডীগড়ের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের এক ৪০ বছরের ব্যক্তির। চলতি সংক্রমণ বৃদ্ধির পর্যায়ে শহরে এটিই প্রথম কোভিড-সংক্রান্ত মৃত্যু বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনেকের রাতের ঘুম চলে গিয়েছে। আশঙ্কা, আবার কি শুরু হবে কোয়ারেন্টাইন?
মৃত ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। তবে তিনি লুধিয়ানায় কর্মরত ছিলেন। শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে লুধিয়ানা থেকে চণ্ডীগড়ের গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, সেক্টর ৩২-এ ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির দুই দিন পর মঙ্গলবার তাঁর কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে এবং বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির হেপাটাইটিস এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।তবে তিনি যে করোনা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেটিও এখনও শনাক্ত হয়নি। এই ঘটনার ঠিক কয়েকদিন আগেই মোহালিতে নতুন করে একটি করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এলাকা জুড়ে ফের সংক্রমণ বাড়তে পারে। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আতঙ্কের কিছু নেই। নিয়ম মেনে চললেই বিপদ এড়ানো সম্ভব।
আরও পড়ুন-'রাজনৈতিক হতাশার সীমা আছে!' কংগ্রেসে ব্যাকফুটে শশী, পাশে দাঁড়াল রিজিজু
অন্যদিকে, কর্ণাটকে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড। বুধবার সেখানে ৪০টি নতুন সংক্রমণের খবর মিলেছে। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৬।এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। রাজ্যের মেডিক্যাল এডুকেশন মন্ত্রী শরণ প্রকাশ পাটিল বলেন, 'সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত। আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা।' তিনি বলেন, 'জনসাধারণের জন্য পরামর্শ মাস্ক ব্যবহার করুন, বিশেষ করে ভিড় জমায়েতের জায়গায়। বারবার হাত ধুয়ে নিন বা স্যানিটাইজ করুন, সামান্য উপসর্গ থাকলে অবিলম্বে পরীক্ষা করান, সরকারি নির্দেশ মেনে চলুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণ কম থাকলেও হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন-'রাজনৈতিক হতাশার সীমা আছে!' কংগ্রেসে ব্যাকফুটে শশী, পাশে দাঁড়াল রিজিজু
শুধু কর্ণাটক নয় মুম্বইয়ের হাসপাতালেও কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।মে মাসে প্রতিদিন গড়ে ১১ জন নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ফলে চলতি মাসে মোট ৩৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র ২৮ মে শহরে ৩৬ জন নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে ২০২৫ সালে ছয় জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।তবে মৃতদের অন্যান্য রোগও ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এবারের সংক্রমণ থেকে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হচ্ছে না। তবে চিকিত্সকরা এও বলছেন, সতর্ক থাকতেই হবে। ইতিমধ্যেই করোনা থাবা বিস্তার করেছে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের মধ্যেই।জনবহুল এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বয়স্ক ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা মানুষজনের জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। প্রশাসনের তরফে বারবার জানানো হয়েছে, নতুন করে করোনার ঢেউ এলে তা মোকাবিলায় সব রকমভাবে প্রস্তুত। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।