তৃতীয় পর্যায়ে বর্ধিত লকডাউনে রেড জোনে বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি থাকলেও আজ থেকে অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে বেশ কিছু ছাড় মিলবে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক নাগরিক সুবিধার স্বার্থে আজ থেকে কী কী পরিষেবা ও গতিবিধিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
৫০ শতাংশ যাত্রী-সহ আন্তঃরাজ্য ও রাজ্যের অভ্যন্তরে বাস চলাচল করতে পারবে। বাস গুমটিতেও ৫০ শতাংশের বেশি জনসমাগম অনুমোদিত হবে না। অটো রিকশা, সাইকেল রিকশা চলাচল করবে। ট্যাক্সি ও ক্যাবে চালক ছাড়া ২ জনের বেশি যাত্রী অনুমোদিত হবে না।
অত্যাবশকীয় প্রয়োজন ছাড়া জেলা থেকে জেলায় ব্যক্তি ও গাড়ি চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। চার চাকার গাড়িতে চালক ছাড়া ২ জনের বেশি আরোহী নিষিদ্ধ। অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে ২ চাকার যানে দুই জন আরোহী সফর করতে পারবেন।
হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের আউট পেশেন্ট বিভাগ এবং মেডিক্যাল ক্লিনিক খোলা থাকবে, তবে সেখানে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো বিধি আবশ্যিক।
খোলা থাকবে পুরুষদের চুল কাটার সেলুন, স্পা ও বিউটি সালোঁ।
শহরাঞ্চলে খোলা থাকবে বিশেষ বাণিজ্যিক এলাকা, রফতানি সংস্থা, শিল্প তালুক ও শিল্প টাউনশিপ। তবে সর্বত্রই নিয়ন্ত্রিত ও শর্ত সাপেক্ষ গতিবিধি মেনে চলতে হবে।
শহরাঞ্চলে অত্যাবশকীয় পণ্য ছাড়া মল, বাজার বা মার্কেট কমপ্লেক্সে দোকান খোলা যাবে না। তবে স্থানীয় একক দোকানে অত্যাবশ্যক এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা যাবে।
বেসরকারি অফিসে সর্বোচ্চ ৩৩% কর্মী উপস্থিতি সহ কাজকর্ম চালু রাখা যাবে। বাকি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: রেড জোনে কী কী কাজ করতে পারবেন ও কী কী পারবেন না, দেখে নিন
ক্যুরিয়ার ও ডাক পরিষেবা বহাল থাকবে।
কনরেগা প্রকল্প-সহ সমস্ত নির্মাণকাজ চালু রাখা যাবে গ্রামাঞ্চলে। তবে শহরাঞ্চলে শুধুমাত্র সিটু প্রক্রিয়ায় নির্মাণ চালু থাকবে, যেখানে বহিরাগত কর্মীর প্রবেশ প্রয়োজন হবে না। খোলা থাকবে ইটভাটা ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা।