রাজস্থানের হোটেলে বয়ান রেকর্ডের অজুহাতে গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে। অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযোগকারী নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসাকে ঘিরে নির্যাতিতার স্বামী স্থানীয় থানায় শুক্রবার একটি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং তিন বছরের সন্তানকে বয়ান রেকর্ড করার নামে কনস্টেবল একটি হোটেলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, সেখানেই ওই কনস্টেবল তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। জয়পুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এসিপি) বিনোদ শর্মা জানান, শনিবার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানান। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি এআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।পাশাপাশি অভিযুক্ত কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এসিপি জানান, শনিবার নির্যাতিতার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। অভিযুক্ত কনস্টেবল নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করেন এবং বয়ান রেকর্ডের জন্য বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি জায়গায় দেখা করতে বলেন। অভিযোগ, তারপরে একটি বাইকে চাপিয়ে মহিলা এবং তাঁর সন্তানকে ওই হোটেলে নিয়ে যান কনস্টেবল।হোটেলের রিসেপশনে ওই কনস্টেবল নিজেকে পুলিশ অফিসার বলে পরিচয় দেন। পাশাপাশি হোটেল কর্মীদের বলেন যে মহিলাটি অসুস্থ এবং তাকে পোশাক পরিবর্তন করতে হবে। হোটেল রুমে ঢুকে ওই কনস্টেবল মহিলাকে চড় মেরে, গামছা দিয়ে চেপে ধরে জোর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার কথা জানাজানি হলে মহিলার স্বামীকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার রাতের মহিলার স্বামীর অভিযোগের পর রবিবার সকালেই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল সাঙ্গান থানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশকর্মীরা। পাশাপাশি নির্যাতিতার ধর্ষণের অভিযোগ যাচাই করার জন্য তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।আগেও একাধিক জায়গায় মহিলাদের শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে।