
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
চট্টগ্রামের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে বিভিন্ন দেশ। ব্রিটিশ সংসদ থেকে ভারতের রাজপথে এই নিয়ে সরব সবাই। এরই মাঝে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ এসেই চলেছে। এই সবের মাঝেই সম্প্রতি বাংলাদেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সেদেশের সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেই বৈঠকের পরই বাংলাদেশের সেন্ট মেরি ক্যাথিড্রালের ফাদার অ্যালবার্ট রোজারিও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে কথ বললেন। তাঁর কথায়, 'জামিন পাওয়া সব ব্যক্তিরই অধিকার।' এদিকে বাংলাদেশি লেখক ফারহাদ মাঝারও চিন্ময় প্রভুর হয়ে সরব হয়েছেন। (আরও পড়ুন: এমন সব ইস্যু… ভারতের চিন্তায় 'ঘুম উড়ল' বাংলাদেশের! স্মারকলিপি ভারতীয় হাইকমিশনে)
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু উপাচার্যের পদত্যাগ, বিপ্লবের নামে অত্যাচার?
এদিকে বর্তমানে চিন্ময় প্রভু জেলে আছেন। তাঁর জামিনের মামলার পরবর্তী শুনানি হবে নয়া বছরে। এদিকে চিন্ময় প্রভু যাতে কোনও রকম আইনি সহায়তা না পান, তার জন্যে ক্রমাগত হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে চট্টগ্রামের আইনজীবীদের একটা অংশ। এমনকী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে কোনও আইনজীবী যদি আদালতে পেশ থাকেন, তাহলে সেই আইনজীবীকে গণপিটুনি দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই আবহে চিন্ময় প্রভুর আগের জামিন শুনানিতে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল 'আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র'। তবে কয়েক মাস যাওয়র পর সেই দেশে হিন্দুদের অবস্থা যেন আরও খারাপ। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছে। 'জুলাই বিল্পবের' ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন সম্প্রতি। এই আবহে ভারতের রাস্তাতেও লোক নেমেছে। বাংলাদেশি মৌলবাদে বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে এখানে। ভারত সরকারও একাধিক বিবৃতি প্রকাশ করে ওপারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুও। সেই সমাবেশেই নাকি তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছিলেন। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সেই নেতা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে বাইরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে জড়ো হয়েছিলেন চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানাতে। সেই জনতার ওপর নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই সংঘর্ষে এক আইনজীবী খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় ৮ হিন্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযোগ উঠছে, ইচ্ছে করে সংখ্যালঘুদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে কোনও আইনজীবী যাতে মামলা না লড়েন, তার জন্যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports