সিমরান সিং
বিহারের গয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা অতিরিক্ত ভিড়ের প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করে এবং ট্রেনের দরজা বন্ধ করে দেন। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ কেউ ট্রেনের দরজায় উঠে লোকো পাইলটসহ রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন যাত্রীরা দেখেন ট্রেনের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় বেশি মানুষ উঠতে পারছেন না। মহাকুম্ভের ভিড়ের মধ্যে হাজার হাজার টিকিটবিহীন যাত্রী স্টেশনে ভিড় করছেন, কিছু যাত্রী আরও ভিড় এড়াতে ট্রেনের দরজা আটকে দেন বলে খবর।
দেখুন সেই ভিডিও:
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, টিকিটবিহীন যাত্রীরা ট্রেনের কামরাগুলির মেঝে দখল করে রয়েছেন, যার মধ্যে সাধারণত এক্সক্লুসিভ ১ম, ২য় এবং ৩য় এসি কামরা রয়েছে। একেবারে তুমুল হট্টগোলের পরিস্থিতি।
মহাকুম্ভে পদপিষ্ট
এদিকে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে ইতিমধ্য়েই ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিন্দু ক্যালেন্ডারের অন্যতম শুভ দিন মৌনি অমাবস্যা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী পবিত্র স্নান করার জন্য জায়গার জন্য হুড়োহুড়ি করার সময় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, অন্যদিকে বিরোধী নেতারা অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন।
আহত ৯০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বৈভব কৃষ্ণ বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৩০ জন ভক্ত মারা গেছেন। তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুসারে, এই ট্র্যাজেডির অন্যতম প্রধান কারণ ছিল সঙ্গমে তীর্থযাত্রীদের আকস্মিক উত্থান, সকলেই ভোর তিনটায় পবিত্র স্নান করতে আগ্রহী, শুভ সময়ের শুরুতে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পদপিষ্ট হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করেছেন। এই প্যানেলে রয়েছেন বিচারপতি হর্ষ কুমার, প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল ভি কে গুপ্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার ভি কে সিং। পাশাপাশি নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন আদিত্যনাথ।
আবেগাপ্লুত আদিত্যনাথ বলেন, 'কীভাবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, তার গভীরে যাওয়া জরুরি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার মহাকুম্ভে যাবেন মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি।