পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা টানলেন বিজেপি নেতা প্রদীপ ভাণ্ডারি। উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক হিংসার নেপথ্যে ছিলেন এই সোহরওয়র্দী। তিনি পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পরে আওয়ামি লিগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এহেন সোহাওয়ার্দীর সঙ্গে তুলনা টানা হল মমতার। প্রদীপ বলেন, 'বাংলায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে যা কিছু ঘটছে, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী, এবং তিনি এখন 'আধুনিক যুগের সোহরাওয়ার্দী' হিসেবে কাজ করছেন।' (আরও পড়ুন: 'বাংলা ভাগের কথা মনে পড়ছে…', ওয়াকফ হিংসা নিয়ে মমতাকে তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত জেলাগুলিতে AFSPA জারির দাবি, শাহকে চিঠি বঙ্গ বিজেপি সাংসদের
এরপর প্রদীপ ভণ্ডারি আরও বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু-বিরোধী সহিংসতাকে উৎসাহিত করছেন। এই হিংসাকে সমর্থন কছেন এবং উস্কে দিচ্ছেন। হিন্দুদের উপর আক্রমণের সময় মুখ্যমন্ত্রী কিছু না করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই আবহে বাংলার পুলিশের মনোবল সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। আজ, উগ্র ইসলামপন্থী জনতাকে থামানোর কেউ নেই কারণ তিনি তাঁর তোষণের রাজনীতির জন্য তাদের সমর্থন করছেন।' (আরও পড়ুন: ‘দাস পরিবারকে হত্যা করা হল, বাংলা জ্বলছে… আর ইউসুফ পাঠান চা খেয়ে আনন্দ পাচ্ছেন’)
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলেকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি ও টোটো। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি।
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলে লুটপাট চালানো হয়। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় বিধায়ককে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।