
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় কারণে সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। আওয়ামি লিগও এই নিয়ে সরব হয়েছে। ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। এই আবহে বিবৃতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার প্রেস উইং দাবি করেছিল, এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর এবার জনপ্রশাসন মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হল, গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতেই ২২৭ জন প্রার্থীর বিসিএস নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এবং বাদ পড়া বাকি ৪০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেননি। এই আবহে বিসিএস থেকে বাদ পড়া কতজন সংখ্যালঘুকে নিয়ে গোয়েন্দাদের 'নেতিবাচক রিপোর্ট' জমা পড়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি। (আরও পড়ুন: নয়া বছরের শুরুতেই বড় খবর? ডিএ মামলার শুনানি নিয়ে কী জানা যাচ্ছে?)
আরও পড়ুন: হাসিনাকে ফেরত চাইতে 'সব কাজ' শেষই করেনি ঢাকা, কী করবে দিল্লি?
উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএসে চাকরি হয়েও হয়নি ৭১ জন সংখ্যালঘুর। উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রকের তরফ থেকে গত ১৫ অক্টোবর একটি গ্যাজেট প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে গত ৩০ ডিসেম্বর সেই গ্যাজেট বাতিল করে নয়া একটি গ্যাজেট প্রকাশ করে সরকার। তাতে দেখা যায়, আগের গ্যাজেটে নাম থাকা ১৬৮ জনের নাম কাটা পড়েছে। নয়া গ্যাজেটে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশপ্রাপ্ত ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দেওয়া হল। এসব প্রার্থীকে ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিতে হবে। (আরও পড়ুন: শুরু মান-অভিমান পালা, হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের 'সৈনিকরা' ক্ষুব্ধ, অবরোধ ঢাকায়)
আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধির নাম নেই, তারই মধ্যে অর্থ দফতরের কর্মীদের নিয়ে বিস্ফোরক সরকার
এদিকে 'বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদে'র অভিযোগ, ৩০ ডিসেম্বরের গ্যাজেটে বাদ পড়া ১৬৮ জনের মধ্যে ৭১ জনই সংখ্যালঘু। এই আবহে তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই গ্যাজেটের মাধ্যমে স্পষ্ট ভাবেই ধর্মীয় বিভেদ প্রতিফলিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যা কোনও ভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই আবহে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রকের কাছে তাদের আবেদন, অবিলম্বে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে নতুন একটি গ্যাজেট প্রকাশ করা হোক এবং তাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রার্থীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হোক। (আরও পড়ুন: ISIS অনুপ্রাণিত জব্বরের গাড়িতে ছিল IED ডেটোনেটর, আর বাড়িতে গোয়েন্দারা দেখলেন…)
আরও পড়ুন: আন্দামান, মণিপুর… বাজেয়াপ্ত স্টারলিঙ্ক ডিভাইস নিয়ে তদন্ত, পদক্ষেপের পথে সরকার?
আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া ভিড়, HMPV সংক্রমণ ছড়াতেই চিনে ফিরল কোভিড-১৯ স্মৃতি!
এদিকে সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর দ্বিতীয় গ্যাজেটে কেন তাঁদের নাম বাদ পড়ল, তা জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রকে গিয়েছিলেন ১৬৮ জন। এছাড়া এর আগেও গ্যাজে থেকে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে এই ২৬৭ জনই সরকারের কাছে জবাবদিহি চান। তবে তাঁদের অভিযোগ, সরকারের তরফ থেকে কোনও সুস্পষ্ট জবাব দেওয়া হয়নি এই বিষয়ে। জানা গিয়েছে, ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য গত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। এর প্রায় ১০ মাস পরে অক্টোবরে গ্যাজেট প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে বাদ পড়েছিলেন বিভিন্ন ক্যাডারের সুপারিশ পাওয়া ৯৯ জন। আর অক্টোবরের গ্যাজেট বাতিল করে ডিসেম্বরে আরও এক গ্যাজেট প্রকাশ হয়। তাতে বাদ পড়েন আরও ১৬৮ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েছেন মোট ২৬৭ জন। সাম্প্রতিককালে বিসিএস গ্যাজেট থেকে এত প্রার্থী বাদ পড়েননি। তথ্য বলছে, এর আগে ৪১তম বিসিএসের গ্যাজেট থেকে বাদ পড়েছিলেন ৬৭ জন, ৪০তম বিসিএস থেকে ৩৪ জন, ৩৭তম বিসিএস থেকে ৬১ জন, ৩৮তম থেকে ৭৫ জন এবং ৩৬তম থেকে ৩৮ জন। আর এবার এই সংখ্যা সব মিলিয়ে ২৬৭!
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports