
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ওয়াশিংটন ডিসি-তে ডোনল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর আলোচনায় উঠে এসেছিল বাংলাদেশ ইস্যু। তা নিয়ে পরর্তীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওপর ছেড়ে দেব।' এই বিষয়ে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর ডিজিটাল সংস্করণে রিপোর্টের শিরোনাম করেছে - 'বাংলাদেশের ঘটনাবলিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’–এর ভূমিকা নাকচ করে দিলেন ট্রাম্প'। এই প্রতিবেদনের ভিতরে অবশ্য মোদীর ওপরে বাংলাদেশের বিষয় ছেড়ে দেওয়ার ট্রাম্পের মন্তব্যের উল্লেখ রয়েছে। এরই সঙ্গে বিগত দিনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রকাশের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রথম আলোর রিপোর্টে। (আরও পড়ুন: 'ভারতের মতো গণতন্ত্রে CJI কীভাবে...', বিচার বিভাগের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ধনখড়ের)
আরও পড়ুন: মোদী আমেরিকা ছাড়তেই নয়া শুল্ক চাপানোর পথে আমেরিকা, বড় ঘোষণা ট্রাম্পের
এদিকে বাংলাদেশের অপর এক সংবাদপত্র দৈনিক জনকণ্ঠ এই ইস্যুতে শিরোনাম করেছে - 'ট্রাম্প বললেন, মোদীর হাতেই ছেড়ে দিচ্ছি! মোদী কেন এড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ'। সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে - 'বৈঠকে অন্যান্য আন্তর্জাতিক ইস্যুর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিষয়টিও উঠে আসে। তবে মোদি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য না করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে কথা বলেন, যা নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।' সেই প্রতিবেদনেই হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে - 'ওয়াশিংটনে নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতির সময় মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। ‘কিলার ইউনূস’ বলে শ্লোগান তোলা হয়, যেখানে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি জঙ্গিদের মদদে ক্ষমতায় আছেন।' আর সেই রিপোর্টের শেষে লেখা হয় - 'বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদীর নীরবতা ও কৌশলী অবস্থান অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ভারতীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম, কিন্তু মোদির নীরবতা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আলোচনার দ্বার উন্মোচন করেছে।' (আরও পড়ুন: দিল্লির সরকার গঠন নিয়ে 'সাসপেন্স' শেষ করলেন বিজেপি নেতা, জানিয়ে দিলেন...)
এছাড়া বাংলাদেশের আরও এক জনপ্রিয় দৈনিক সংবাদপত্র 'ইত্তেফাক' এই খবরের শিরোনামে 'ডিপ স্টেট' মন্তব্যকেই তুলে ধরেছে। সেই রিপোর্টে আবার 'ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের অর্থায়ন' ইস্যুটি উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এনডিটিভি-র একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, এই ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট হাসিনা বিরোধী জনমত তৈরি করতে বাংলাদেশে অনেকের 'ক্লাস' নিয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠানকে আবার টাকা দিল ইউএস এইড। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউএস এইড-এর সাহায্য বন্ধ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে ইত্তেফাকের রিপোর্টে জর্জ সোরোসের বিরুদ্ধে বিজেপির 'ডিপ স্টেট' অভিযোগেরও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, মোদী ভালো বন্ধু, তবে দর কষাকষিতে তিনি আরও ভালো। আর নরেন্দ্র মোদী আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পরই সেদেশের সংবাদ চ্যানেল সিএনএনের সাংবাদিক উইল রিপলি বললেন, 'ট্রাম্পের সঙ্গে কীভাবে দর কষাকষি করতে হয়, তার মাস্টারক্লাস ছিল এটা'। সিএনএনের সাংবাদিককে অনুষ্ঠান চলাকালীন বলতে শোনা গিয়েছে, 'আমরা প্রথমে ট্রাম্পের সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবার অত্যন্ত ইতিবাচক বৈঠক দেখেছি এবং এখন ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে অত্যন্ত ইতিবাচক বৈঠক দেখলাম। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কীভাবে আলোচনা করতে হয়, অন্যান্য বিশ্বনেতাদের জন্যে এটা একটা মাস্টারক্লাস।'
এই নিয়ে পরবর্তীতে উইল রিপলি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও করেন। তাতে তিনি লেখেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের অষ্টম বৈঠকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খুব ভালো করে জানতের তাঁর কাজটা ঠিক কী। এই বৈঠক বাজে হতে পারত। ট্রাম্প যেদিন প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন, সেদিন ওয়াশিংটন ডিসিতে গিয়ে পৌঁছান মোদী। তবে শুল্ক নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও দুই পক্ষই এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে যা উভয়ের জন্যে ইতিবাচক। তাঁরা সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি, জ্বালানি, সামরিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। মিগা (মেক ইন্ডিয়া গ্রেট আগেন) + মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট আগেন) = মেগা - মোদীর এই ব্র্যান্ডিংটা ট্রাম্পের মন ছুঁয়ে যাবে। অন্যান্য নেতাদের এর থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।'
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports