ঘটনা ২০০৪ সালের ১ এপ্রিলের। সেদিন চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয়েছিল ১০ ট্রাক বোঝাই অস্ত্র। সেই বছরই অসমের কুখ্যাত উগ্রপন্থী নেতা আলফার পরেশ বড়ুয়া আশ্রয় নিয়েছিল বাংলাদেশে। অভিযোগ ছিল আলফার নাশকতার জন্যই এই বিপুল অস্ত্র পাচার হচ্ছিল। সেই মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর সহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হন ও সাজার মুখে পড়েন কয়েকজন। ২০২৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের কোর্টে বাবর সহ ৭ আসামিকে সেই মামলায় খালাস করা হয়। মামলায় অপর আসামি আলফার পরেশ বডুয়ার সাজা মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়েছে।
আলফার কুখ্যাত জঙ্গি নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল ইউনুস সরকার শাসিত বাংলাদেশের কোর্ট। এই মামলায় খালেদা জিয়া সরকারের আমলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী থাকা লুৎফুজ্জামান বাবরকেও সাজামুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে খালেদা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিএনপি নেতা বাবর এখনই জেল থেকে মুক্ত হচ্ছেন না। কারণ অন্য এক মামলায় তাঁর দণ্ড রয়েছে। মামলায় মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন এমন ৬ আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। মামলায় মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে বাংলাদেশের কোর্ট এই রায় দেয়। এর আগে, এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে প্রাক্তন মন্ত্রী ও জামায়েতের মতিউর রহমান নিজামি, লুৎফুজ্জামান বাবর, আলফার পরেশ বড়ুয়া, বাংলাদেশের দুই গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ ১৪ জনের ফাঁসির আদেশ হয়। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স বাংলাদেশ হাইকোর্টে যায়, সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন আলাদা আপিল করেন।
( Shukradev in Dhanishtha: শুক্র এবার যাচ্ছেন ধনিষ্ঠা নক্ষত্রে! ক'দিন পর থেকেই ভাগ্যের মোড় ঘুরবে অনেকের, লাকি ৩ রাশি)
বাবর ছাড়াও যাঁরা এদিন মুক্তি পেয়েছেন, তাঁরা হলেন, সিইউএফএলের তৎকালীন মহাপরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, তৎকালীন প্রশাসনের কেএম এনামুল হক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহিপরিদফতরের প্রাক্তন পরিচালক মেজর জেনারেল মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল চৌধুরী। এঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ না থাকায় তাঁরা মুক্তি পেয়েছেন। উল্লেখ্য, সেদিনের ১০ ট্রাক বোঝাই অস্ত্র সরবরাহের ঘটনা ভারতের জন্য স্বস্তির বার্তা ছিল না। আর সেই মামলায় এমন পর পর আসামিদের মুক্তিও কি দিল্লির জন্য স্বস্তি এনে দেবে? প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে। মামলায় জামাতের নিজামির মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল। তিনি মারা যাওয়ায় মামলাটি অ্যাবেট হয়ে গিয়েছে। এই মামলায় অপর নাম পরেশ বড়ুয়া শুরু থেকেই পলাতক। তার বিরুদ্ধে এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণও রয়েছে। তবে যাবতীয় সাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনা করে তাঁর সাজা পর্যালোচনা করে তা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়েছে।