দু’দিন আগেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তারমধ্যে বাড়িতে এল দুঃসংবাদ। কফিনবন্দি অবস্থায় ফিরবে বাড়ির ছেলের দেহ। জলজ্যান্ত ছেলেটাকে এই অবস্থায় দেখতে হবে বাড়ির কেউ ভাবতেই পারেননি।নদিয়ার বিএসএফ জওয়ান গয়েশ বিশ্বাস পোস্টিং ছিলেন মণিপুরে। সম্প্রতি ফেরার কথা ছিল বাড়িতে। কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকায় আর ফেরা হল না তাঁর। (আরও পড়ুন: ১২০০ BSF জওয়ানকে নিয়ে যেতে নোংরা ট্রেন পাঠাল রেল,সাসপেন্ড আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ৪)
আরও পড়ুন: মহেশতলার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় জারি ১৬৩ ধারা, সংঘর্ষে গ্রেফতার ৪০
নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ফুলিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা গয়েশ বিশ্বাস। ২০০২ সালে বিএসএফের কর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূত্রে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। পরিবারে রয়েছে বাবা-মা সহ তাঁর তিন সন্তান এবং স্ত্রী। বর্তমানে তিনি কর্মরত ছিলেন মণিপুরে।বুধবার দুপুরে বিএসএফের তরফে গয়েশ বিশ্বাসের স্ত্রীকে ফোন করা হয়। স্ত্রীকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানাতে না চাইলেও তাঁর ভাইকে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে বিএসএফের কর্তারা। তাঁর ভাইকে সরাসরি জানানো হয় শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আর বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে তাঁর স্ত্রী। (আরও পড়ুন: কলেজে ভর্তির পোর্টাল খুলছে কবে থেকে? অবশেষে জানা গেল সম্ভাব্য দিনক্ষণ)
আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় নয়া মোড়, ২৫% বকেয়া মেটাবে না সরকার? নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের
পরিবারের সদস্যদের দাবি, গয়েশ বিশ্বাস কিছুটা খামখেয়ালি প্রকৃতির ছিলেন। এর আগেও তাঁর শারীরিক অসুস্থতা ধরা পড়েছিল। কিন্তু সেই ভাবে সেই নিজের অসুস্থতা নিয়ে গুরুত্ব দিতেন না তিনি। তাঁর স্ত্রী এবং পরিবার তাঁকে একাধিকবার সঠিকভাবে শারীরিক চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অসাবধানতার কারণেই হয়তো অকালে চলে যেতে হল নদিয়ার বিএসএফ জওয়ানকে। এই প্রসঙ্গে মৃতের ভাই বলেন, 'উনি আমার কাকার ছেলে। দুপুর নাগাদ ওঁর অফিস থেকে ফেন এল। তখন শুনলাম স্ট্রোকে হয়ে মারা গিয়েছেন।'