
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
পেগাসাস ইস্যুতে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের পালটা তোপ দেগে এবার সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর কথায় 'মিথ্যা বলা এবং ভারতকে অপমান করার অভ্যাস রয়েছে রাহুলের'। অনুরাগ এদিন বলেন, 'রাহুল গান্ধী আবার বিদেশের মাটিতে হৈচৈ শুরু করছেন। তার মনে পেগাসাস আছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে সারা বিশ্বে ভারতের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়েছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন রাহুলের সেই কথা শোনা উচিত...' উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতের পর তাঁকে 'বিশ্বের অন্যতম প্রিয় নেতা' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ইতালির ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলোনি। (আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জটিলতা চরমে, এবার কি ডিএ দিতে বাধ্য হবে সরকার?)
অনুরাগ ঠাকুর বলেন, 'গতকালের ফলাফল দেখায় কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে... তারা জনগণের মত মেনে নিতে পারছে না... মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওপর বিশ্বাস করেছে। এই পরাজয় হয়তো রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস মেনে নিতে পারছে না... একে একে তারা সব রাজ্য হারাচ্ছে। এটা কংগ্রেসের অভ্যাস... ভারতকে অপমান করা। মোদীর প্রতি রাহুল গান্ধীর এই ঘৃণা থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের জন্য নয়। এটা প্রশ্ন তুলেছে- কংগ্রেসের উদ্দেশ্য কী?' এদিকে পেগাসাস নিয়ে রাহুলের উদ্দেশে অনুরাগ সরাসরি প্রশ্ন করেন, 'আপনার ফোনে যদি পেগাসাস ছিল, তবে আপনি তদন্ত কমিটিকে নিজের ফোন জমা করেননি কেন?' অনুরাগ ঠাকুর বলেন, 'তিনি এমন এক ব্যক্তি যে কি না দুর্নীতি মামলায় জামিনে মুক্ত আছেন। তাঁর ফোনে কী এমন ছিল যে তিনি তদন্ত কমিটির কাছে তা জমা করতে পারলেন না?'
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল বলেন, 'আমার ফোনেও পেগাসাস ছিল।' তিনি অভিযোগ করেন, ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোর ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।’ রাহুল দাবি করেন, এক গোয়েন্দা আধিকারিক তাঁকে এই বিষয়ে সতর্ক করেন। রাহুলের কথায়, তাঁকে সেই আধিকারিক বলেছিলেন যে ফোনে রাহুলের সব কথা রেকর্ড করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বাদল অধিবেশনের আগে প্রকাশ্যে এসেছিল পেগাসাস ইস্যুটি। এই ঘটনা সামনে আসার পর প্রায় দেড় বছর কেটে গিয়েছে। বিগত দিনে এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। এখনও থেকে থেকেই বিরোধীরা এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রকে নিশানা করে আক্রমণ শানায়। এদিকে সংসদে ঝড় ওঠার পাশাপাশি পেগাসাস ইস্যুতে মামলা গড়িয়েছিল শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। এরপরই ঘটনা খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্ট একটি টেকনিকাল কমিটি গঠন করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। পেগাসাস ‘আক্রান্ত’দের ফোন নিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা ছিল এই প্যানেলর কাজ। গতবছর সেই সেই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা গঠিত কমিটি নিজেদের রিপোর্টে জানায়, যে ২৯ টি ফোন জমা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলির মধ্যে পাঁচটি ফোনে ম্যালওয়ার পাওয়া গিয়েছে। তবে সেই ম্যালওয়ার আদৌও পেগাসাস কিনা, সে বিষয়ে অকাট্য কোনও প্রমাণ মেলেনি। এদিকে কমিটির অভিযোগ ছিল, তদন্তে ভারত সরকার তাদের সাহায্য করেনি। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এই তদন্ত কমিটিকে নিজের ফোন দেননি রাহুল।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports