কর্ণাটকের মেঙ্গালুরুতে হাইপ্রোফাইল ফাজিল হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত সুহাস শেট্টিকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মেঙ্গালুরুজুড়ে হাই-অ্য়ালার্ট জারি করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ৬ মে পর্যন্ত যে কোনও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-‘জাতিগণনায় সামাজিক ন্যায়বিচার!’ সরকারের প্রতিশ্রুতি, কংগ্রেসকে তুলোধোনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যস্ত রাস্তায় একদল অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী হঠাৎ অভিযুক্ত সুহাস শেট্টির উপর তরোয়াল-সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ইতিমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরায় গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এদিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় সুহাসকে এজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সুহাস শেট্টি একাধিক স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হামলা এবং বেআইনি সমাবেশের অভিযোগও আছে। ২০২২ সালে মেঙ্গালুরুতে ২৩ বছর বয়সি মহম্মদ ফাজিলের হত্যা মামলারও মূল অভিযুক্ত ছিল সুহাস শেট্টি।
অন্যদিকে, সুহাস শেট্টির খুনের পর মেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ সবরকম সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। যদিও এর উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।
মেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ কমিশনার অনুপম আগরওয়ালের মতে, সুহাস শেট্টি সঞ্জয়, প্রজ্বল, অন্বিত, লতিশ এবং শশাঙ্ক- এর সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিল। হঠাৎ তাদের গাড়িটি একটি পিকআপ ট্রাকে এসে আটকে দেয়। এরপর পাঁচ থেকে ছয়জন আততায়ী সুহাসের উপর হামলা করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বজরং দলের তরফে শহরে বনধ ডাকা হয়েছিল। বনধ চলাকালীন একাধিক বাসে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, মেঙ্গালুরুজুড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।তদন্ত চলাকালীন প্রশাসন বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন-‘জাতিগণনায় সামাজিক ন্যায়বিচার!’ সরকারের প্রতিশ্রুতি, কংগ্রেসকে তুলোধোনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
'নতুন যুগের….', কেরলে আদানিদের সমুদ্রবন্দর উদ্বোধনে বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, খুনের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের চারটি পৃথক দল গঠন করা হয়েছে। তাঁর কথায়, 'বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেঙ্গালুরুতে একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। অপরাধীদের খুঁজে বের করার জন্য পুলিশের চারটি পৃথক দল গঠন করা হয়েছে। দক্ষিণ কন্নড় অঞ্চলে আমরা যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টা করছি, এই ধরনের কর্মকাণ্ড যেন তা ব্যাহত না করে।'