বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,' আমরা কেরলের একজন ভারতীয় নাগরিকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছি।'
রাশিয়ার সেনা (Russian Defense Ministry Press Service via AP)
ইউক্রেনের সেনায় সদ্য এক কেরলের বাসিন্দার মৃত্যুর পরই এবার মস্কোকে জোরালো বার্তা দিল দিল্লি। রাশিয়ার ট্রুপে থাকা বাকি ভারতীয়দের সত্ত্বর দেশে প্রত্যর্পণের জন্য জোরালো বার্তা দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এদিন এই বিষয়ে মুখ খোলেন।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,' বিষয়টি আজ মস্কোতে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নয়া দিল্লিতে রাশিয়ান দূতাবাসের কাছে জোরালোভাবে তোলা হয়েছে। আমরা বাকি ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত ছাড়ার জন্য আমাদের দাবি ফের একবার পেশ করেছি।' এদিকে, জানা গিয়েছে, কেরলের বাসিন্দা বিনিল টিবির মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা ছিলেন বিনিল। জানা গিয়েছে, রুশ আধিপত্যে থাকা ইউক্রেনের কোনও অঞ্চলে বিনিল আটকে পড়েছিলেন। সেখানেই যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি মারা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বিনিলকে নিয়ে রাশিয়া যাওয়া তাঁরই এক আত্মীয় জৈন টিবি এই ঘটনার পর আহত হয়েছেন। তিনিও রাশিয়ার ফ্রন্টলাইন সার্ভিসে ছিলেন বলে খবর। জৈনের বস ২৭, আর বিনিলের বয়স ৩২। তাঁদের দুজনেরই শিক্ষাগত যোগ্যতার বিচারে আইটিআই মেকানিক্যালের ডিপ্লোমা ছিল। গত ৪ এপ্রিল তাঁরা রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে ইলেকট্রিশিয়ান ও কল সারাইয়ের কাজ পাবেন, এমন আশা নিয়ে তাঁরা যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়ায় পাড়ি দেন। এর কয়েক মাস পরই এল এই শোকের খবর।
জানা যাচ্ছে, আরও যে ভারতীয়রা রাশিয়ায় গিয়ে আটকে পড়েছেন, তাঁদের মতোই বিনিলেরও পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর রাশিয়া পৌঁছেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় যুদ্ধক্ষেত্রে। বাধ্য করা হয়, রাশিয়ার মিলিটারি সাপোর্ট সার্ভিসে। রণধীর জয়সওয়াল বলেন,' আমরা কেরলের একজন ভারতীয় নাগরিকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছি, যাঁকে স্পষ্টতই রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। কেরলের আরও এক ভারতীয় নাগরিক, যিনি একইভাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন, তিনি আহত হয়েছেন এবং মস্কোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।' রণধীর জয়সওয়াল বলেন,'আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। মস্কোতে আমাদের দূতাবাস পরিবারের সাথে যোগাযোগ করছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছি যাতে মৃতদেহ দ্রুত ভারতে পাঠানো যায়। আমরা আহত ব্যক্তিরও দ্রুত মুক্তি এবং ভারতে প্রত্যর্পণ চেয়েছি।' জানা যাচ্ছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে এমনভাবে ৮র বেশি ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৪ সালের অগস্টে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল, ৬৩ জন ভারতীয় যাঁরা রাশিয়ার সেনা বাহিনীতে এভাবে রয়েছেন, তাঁরা মুক্তি চাইছেন। মোদীর রাশিয়া সফরেও তিনি এই বিষয়টি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে,এরপর ২০২৫র জানুয়ারিতে এল আরও এক শোকসংবাদ।