মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় কেলারের জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করার পর একটি এনকাউন্টার চলছে।ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে সেনাবাহিনী ও পুলিশ শোপিয়ানের কেলারের জঙ্গলে একটি যৌথ অভিযান শুরু করে যার ফলে গুলি বিনিময় হয়।
জানা গিয়েছে কাশ্মীরের জঙ্গলে ২-৩ জন সন্ত্রাসীর উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। ২২শে এপ্রিল পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দক্ষিণ কাশ্মীর এবং কিস্তোয়ারের জঙ্গলে চিরুনি অভিযান চালিয়ে আসছে সশস্ত্র বাহিনী। এই হামলায় ২৬ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
আজকের অভিযানটি ভোরে শুরু হয়েছিল, তবে শোপিয়ানের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কিনা তা স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও জঙ্গি হানার পরই জঙ্গিদের নামে ২০ লাখের পুরস্কার রাখে প্রশাসন। আজ সকালেও সেই নিয়ে পোস্টার দেখা গিয়েছে কাশ্মীরের বহু জায়গায়। তারপরই এল এই এনকাউন্টারের খবর।
( পাকিস্তান যে জঙ্গিকে সাধারণ ‘ফ্যামিলি ম্যান’ দাবি করছে সেই হাফিজ রউফ কে? 'কীর্তি' বহু)
( আসন্ন শনি অমাবস্যায় মে মাসের শেষে নয়া খেলা ঘোরাবেন কর্মফলদাতা! লাকি কারা?)
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানা ঘটেছিল এক মঙ্গলবারে। দিনটি ছিল ২২ এপ্রিল ২০২৫। আজও আরেকটি মঙ্গলবার। আজ কাশ্মীরের শোপিয়ানে কেলার জঙ্গলকে নিশানা করে তাবড় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে অভিযানে নামে সেনা। এরপরই শুরু হয় গুলির যুদ্ধ। এর আগে, পহেলগাঁও জঙ্গি হানা কাণ্ডে জানা গিয়েছিল, অভিযুক্ত জঙ্গিরা সম্ভবত পাহাড়ি জঙ্গলের পথে কাশ্মীরে ঢুকেছে। সেই পথ ধরেই তাদের আনাগোনা বলে খবর ছিল। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছে, সম্ভবত পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় জড়িত কোনও এক জঙ্গি জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। এই সম্ভবত জল্পনা, রিপোর্টের মাঝে আজ ১৩ মে, ২০২৫ কাশ্মীরের শোপিয়ানে সেনা জঙ্গি সংঘাত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হানার পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ লঞ্চ করে। পাকিস্তানের ভিতরে পর পর জঙ্গি লঞ্চপ্যাড, জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। একের পর এক পাকিস্তানি সেনা ঘাঁটিতে হয় স্ট্রাইক। ব্রাহ্মোস আছড়ে পড়ে রাওয়ালপিন্ডির নুর খান বিমানঘাঁটিতে। এই সংঘাত পর্ব শনিবার থেকে সংঘর্ষ বিরতিতে গিয়ে আপাতত স্থগিত। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়েছেন অপারেশন স্থগিত হলেও, তা শেষ হয়নি। আর এরপরই দেখা গেল কাশ্মীরের বুকে এই এনকাউন্টার।