'টানা তিনটি নির্বাচনী পরাজয়ের পর রাহুল গান্ধীর বোধবুদ্ধি লোপ পেয়ে থাকতে পারে।' সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকসভার বিরোধী দলনেতার ভিডিও ভাইরাল হতেই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনকী কংগ্রেস নেতার নৈতিকতা বোধের পতন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।বার্তা সংবাদ এএনআই-কে এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, 'একটি কর্মসূচি পরিচালনা এবং জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। তারা (কংগ্রেস) জনগণের মধ্যে এক ধরণের বিভ্রান্তি তৈরি করতে চায়। অবশ্য তারা সফল হবে না, কারণ জনগণের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ কংগ্রেসের চেয়ে বহুগুণ বেশি। আমরা জনগণের সঙ্গে কথা বলি। আমরা কেবল এখানে এসে ঘটনাক্রমে বসে থাকিনি। তিনটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর, আমার মনে হয় হতাশার মাত্রা এতটাই যে তাঁর (রাহুল গান্ধী) বোধবুদ্ধি লোপ পেয়ে থাকতে পারে।' দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিক বা রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন নিয়ে রাহুল গান্ধীর অতীতের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতি-আদর্শের কথা দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেন শাহ। অতীতের রাহুল এবং বর্তমান রাহুলের মধ্যে ফারাকের উদাহরণ দিতে গিয়ে মোদী সরকারের সেকেন্ড কমান্ড ইন চিফ ২০১৩ সালের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।শাহ বলেন, 'লালুজিকে বাঁচাতে মনমোহন সিং যে অধ্যাদেশ নিয়ে এসেছিলেন, তা কেন রাহুলজি সকলের সামনে ছিঁড়ে ফেলে তার বিরোধিতা করেছিলেন? তখন তাঁর মধ্যে যদি নীতিবোধ ছিল, তাহলে এখন তা কোথায় গেল? এর কারণ কী উনি পরপর টানা তিনটি নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন, তাই?' তিনি আরও বলেন, নৈতিকতা বোধের পরিমাপ সময় অনুযায়ী বদলে যেতে পারে না। কারও নীতি-নৈতিকতা ভোটে জেতা-হারার উপর নির্ভর করে না। নীতিবোধ চন্দ্র-সূর্যের মতো স্থিতিশীল, অনড় থাকে।রাহুল গান্ধীর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার মাস কয়েক পরই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছে কংগ্রেস।রাহুল গান্ধী সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার করছেন। বিরোধী দলনেতার একাধিক রিল সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে ইনস্টাগ্রামে ভরে গিয়েছে। এই রিলগুলিতে রাহুল গান্ধী নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতির সমালোচনা এবং সম্প্রতি 'ভোট চুরি'র অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের ইনস্টাগ্রাম পেজের ফলোয়ারের সংখ্যা বিজেপিকে ছাড়িয়ে গেছে।এই মুহূর্তে ৯.৫ মিলিয়ন ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার রয়েছে কংগ্রেসের। সেখানে বিজেপির ফলোয়ার সংখ্যা মাত্র ৮.৩ মিলিয়ন।বর্তমান বিহার জুড়ে ভোটার অধিকার যাত্রা করছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এরই মধ্যে এমন এক ঘটনা ঘটল, যা নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রবিবার বিহারের পুর্ণিয়া-আরারিয়া রুটে ভোটার অধিকার যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাহুল গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সেখানেই হঠাৎ রাহুলের নিরাপত্তারক্ষীদের টপকে এক সমর্থক তাঁর বাইকের পাশে চলে আসেন এবং রাহুলকে জড়িয়ে ধরে, তাঁর কাঁধে চুমু খান।ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গেই সরিয়ে নেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই ব্যক্তি ফের রাহুল গান্ধীর দিকে যেতে চাইলে, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে চড় মারে। ওই জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনাটাই ধরা পড়েছে ভিডিওয়।