পহেলগাঁও হামলার দিনেই তাঁর কাছে সৌদি আরব থেকে মোদীর নির্দেশ এসেছিল। ফোন পেয়েই ২২ এপ্রিলই শ্রীনগর রওনা দিয়েছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাশ্মীরে ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দুপুরে নিরীহ পর্যটক সহ এক স্থানীয়ের হত্যা ঘিরে সেদিন চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতে শ্রীনগরে হাইভোল্টেজ বৈঠকে বসেছিলেন শাহ। পরের দিন গিয়েছিলেন পহেলগাঁও। সেই যাবতীয় পর্বের পর এবার দিল্লির বুক থেকে পহেলগাঁও নিয়ে জোরালো বার্তা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
দিল্লিতে বড়ফা উপেন্দ্র ব্রহ্মের একটি মূর্তি উন্মোচন ও একটি রাস্তা তাঁর নামে উৎসর্গ করার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পহেলগাঁও নিয়ে হুঙ্কার এল অমিত শাহের তরফে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,'নব্বইয়ের দশক থেকে কাশ্মীরে যে সন্ত্রাসবাদ চলছে, তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জিরো টলারেন্সের নীতি রয়েছে। আমরা জোরদারভাবে আমাদের লড়াই লড়েছি। আজ ওরা যেন এটা ভেবে না নেয় যে, আমাদের এই ২৭ জন নাগরিকের প্রাণ নিয়ে ওরা লড়াই জিতে গিয়েছে।' দৃপ্ত কণ্ঠে অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন,'সকল আতঙ্ক ছড়ানোদের বলতে চাই, লড়াই শেষ হয়নি। একটা পর্যায়ে এসেছে। প্রতিটি ব্যক্তিকে বেছে বেছে জবাব দেওয়া হবে।'
( ছিলেন IT কর্মী, ‘স্পাই’ হওয়ার অভিযোগে ফাঁসি! কার খুন ঘিরে কোপ পড়ে মোহসেনের ওপর?)
( মে মাসে জন্মগ্রহণকারীরা হন সৃষ্টিশীল, সংবেদনশীল! আর কী কী গুণ রয়েছে? রইল জ্যোতিষমত)
( দিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার মাঝে ভারতের সামরিক শক্তি বাড়াতে কী পাঠাচ্ছে আমেরিকা?)
( কর্মফলের হিসাব নেবেন শনিদেব! কবে শুরু হবে মার্গী চাল? লাকিদের লিস্টে বহু রাশি)
এর আগে বিহারের মধুবনী থেকে পহেলগাঁও নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাফ জানিয়ে দেন, ‘দুনিয়ার শেষ পর্যায় পর্যন্ত গিয়েও’ সন্ত্রাসীদের ধরা হবে। তিনি সাফ জানান, সন্ত্রাসীদের বেঁচে বর্তে থাকা জমিও মাটিতে মিলিয়ে দেওয়া হবে। মোদীর ঝোড়ো বার্তায় সাফ জানানো হয়, হামলার নেপথ্য কারিগরদেরও রেয়াত করা হবে না। কার্যত সেই সুর নিয়েই দিল্লির অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অমিত শাহ বলেন,হামলার শিকার ব্যক্তি ও পরিবারগুলির উদ্দেশে তিনি বলেন,' এটি কেবল তাঁদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং ব্যক্তিগতভাবে আমাদের জন্যও ক্ষতি।' তিনি সাফ জানিয়ে দেন,'পহেলগাঁও কাণ্ড যারা করেছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। '