ব্যস্ত কর্মজীবনে প্রিয় মানুষের সঙ্গে বোঝাপড়া বজায় রাখা অনেক সময়েই কঠিন হয়ে পড়ে। যখন আপনি কাজের চাপে দমবন্ধ অবস্থায় থাকেন আর আপনার সঙ্গী তখনও মনোযোগ দাবি করেন, তখন সম্পর্কের মধ্যে চাপ সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে এমন পরিস্থিতি সহজভাবে সামাল দেওয়া যায় যদি আপনি সঠিকভাবে কথা বলতে পারেন।
কীভাবে সামাল দেবেন?
১. খোলাখুলি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা: সঙ্গী বুঝতে না পারলে বিরক্ত না হয়ে শান্তভাবে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করুন। যেমন, আপনি বলতে পারেন, “আমি তোমাকে এড়িয়ে যাচ্ছি না। কাজটা এখন এতটাই চাপের যে সময় দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি চাই, আমরা একসঙ্গে সময় কাটাই।" এই ধরনের সরল এবং আন্তরিক কথা সম্পর্কের উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
২. সময় দিন, যতটুকু সম্ভব: আপনার ব্যস্ততা যতই থাকুক, দিনে অন্তত ৫-১০ মিনিট সময় বের করে নিন শুধু সঙ্গীর জন্য। হয়তো এক কাপ চায়ের সঙ্গে দুটো কথা, বা একটা ছোট মেসেজ—এই ছোট উদ্যোগগুলো সম্পর্ককে জীবন্ত রাখে।
আরও পড়ুন - Dealing With Loneliness: ব্যস্ততার কারণে ক্রমশ কমছে বন্ধুবান্ধব? কীভাবে একাকিত্ব ঘোচাবেন, জেনে নিন
৩. বোঝার সুযোগ তৈরি করুন: সঙ্গীর জায়গা থেকেও পরিস্থিতি দেখার চেষ্টা করুন। হয়তো তিনি অবহেলিত বোধ করছেন। এমনটা হলে আপনি যদি বোঝাতে পারেন যে কাজ শেষ হলেই আপনি পুরোপুরি তার—তাহলে তার মনেও একটা আস্থা তৈরি হবে।
৪. যোগাযোগের ধরণে পরিবর্তন আনুন: সবসময় মুখোমুখি কথা না বলে মাঝে মাঝে লিখেও প্রকাশ করতে পারেন। একটি মেসেজ, নোট বা ছোট চিঠি অনেক সময় মুখের কথার চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলে। এতে আপনার ব্যস্ততা ও আন্তরিকতাকে একইসঙ্গে প্রকাশ করা সম্ভব।
৫. কাপল কাউন্সেলিং: নিজেদের মধ্যে কথা বলেও যদি সমস্যার সমাধান সম্ভব না হয় তবে অবশ্যই কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। এই বিষয়ে নিজের সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। দুজনেই যদি রাজি হন তবে থেরাপি অনেকটাই কার্যকরী হতে পারে।
আরও পড়ুন - Emotional Dumping: না চাইতেও বেফাঁস মনের আবেগ! কীভাবে কাটাবেন ইমোশনাল ডাম্পিং? জেনে নিন
প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে শুধু ভালোবাসা নয়, বোঝাপড়াও জরুরি। কাজের চাপ থাকলেও আপনি যদি সময় নিয়ে আন্তরিকভাবে কথা বলেন, তাহলে প্রিয় মানুষটিও ধীরে ধীরে আপনার অবস্থান বুঝতে শিখবে। কথা বলার ধরণ বদলালেই অনেক সময় বদলে যায় সম্পর্কের গতিপথ।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা কথার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন, যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।