গরমকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে মশার উপদ্রবও বৃদ্ধি পায়। এই ঋতুতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করে। আসুন আমরা আপনাকে বলি, গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ায়, জমে থাকা জল এবং ময়লা মশার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে, যা ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রকোপ বাড়ায়। যদি আপনার পরিবারের কেউ বা আশেপাশের কেউ ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন, তাহলে দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য তাকে ওষুধের সাথে পেঁপে পাতার রস পান করার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। হ্যাঁ, ডেঙ্গুর চিকিৎসায় পেঁপে পাতা খুবই সহায়ক বলে মনে করা হয়। এই পাতাগুলি রক্তের প্লেটলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা ডেঙ্গু জ্বরে দ্রুত কমতে শুরু করে। আমরা আপনাকে বলি, পেঁপে পাতা কেবল ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া নয়, আরও অনেক রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন পেঁপে পাতার রস পান করার স্বাস্থ্য উপকারিতা কী কী।
পেঁপে পাতার রস পান করার উপকারিতা
ডেঙ্গু জ্বরে প্লেটলেট বৃদ্ধি
পেঁপে পাতার রস প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা অন্যান্য ভাইরাল জ্বরে কমে যায়। এই পাতায় উপস্থিত এনজাইম রক্তকণিকাকে শক্তিশালী করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে
পেঁপে পাতায় উপস্থিত পাপেইন এবং কাইমোপাপেইনের মতো এনজাইম প্রোটিন হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন
পেঁপে পাতায় উপস্থিত ভিটামিন সি, এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
পেঁপে পাতার রস ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চুলের জন্য উপকারী
পেঁপে পাতার রস চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে এবং খুশকি থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করতে পারে। এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে।
পেঁপে পাতার রস কীভাবে তৈরি করবেন
পেঁপের রস তৈরি করতে, প্রথমে ৪-৫টি তাজা পেঁপের পাতা ধুয়ে পিষে নিন। এরপর, এই পেস্টে কিছু জল মিশিয়ে ছেঁকে নিন। এবার দিনে একবার ২ টেবিল চামচ রস পান করুন।
সতর্কতা
পেঁপের রস স্বাদে তিক্ত এবং পেটের জন্য ভারী হতে পারে, তাই এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করবেন না। এছাড়াও, গর্ভবতী মহিলা এবং অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরেই এটি খাওয়া উচিত।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।