ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা একটি সময়সাপেক্ষ কাজ। শিশুকাল থেকে কৈশোর ও পরবর্তী জীবন পর্যন্ত, এক জন বাবা-মায়ের ভূমিকা শুধু অভিভাবকত্বেই সীমাবদ্ধ নয় বরং একজন নিকটতম বন্ধুর মতো হয়ে ওঠাই ভবিষ্যতের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি সন্তানের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায়, তাহলে পরিণত বয়সে একাকীত্ব বাড়তে পারে। তাই এখন থেকেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করলে পরবর্তীকালে সম্পর্ক অটুট থাকবে।
১। ছেলের সঙ্গে সময় কাটান
প্রতিদিন কিছু সময় নির্ধারিত রাখুন শুধুমাত্র ছেলের সঙ্গে কথা বলার জন্য। সে ছোট হোক বা বড়, তার অনুভূতি, চিন্তা এবং আগ্রহের প্রতি মনোযোগ দিন। ভিডিয়ো গেম খেলতে, সিনেমা দেখতে বা একসঙ্গে হাঁটতে যাওয়া—এই সাধারণ কাজগুলো সম্পর্ক মজবুত করতে সাহায্য করে।
২। পরামর্শ না দিয়ে শোনার ক্ষমতা বাড়ান
অনেক সময় বাবা-মায়েরা শুধু পরামর্শ দিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন কিন্তু সন্তান কী বলছে তা শোনা গুরুত্বপূর্ণ। মন দিয়ে তার কথা শুনলে সে আপনাকে বিশ্বাস করতে শিখবে এবং ভবিষ্যতেও তার যেকোনও সমস্যায় আপনার দিকেই ফিরে আসবে।
৩। কঠোর না হয়ে বন্ধুর মতো আচরণ করুন
শাসনের নামে সম্পর্কের দেওয়ালে ফাটল ধরতে দেবেন না। আপনার ভূমিকা যেন একজন অভিভাবকের পাশাপাশি একজন বিশ্বাসযোগ্য বন্ধুর মতো হয়। ভুল করলে শুধরে দিন, কিন্তু ভালো কাজের প্রশংসা করতেও ভুলবেন না।
৪। একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ছেলের মতামত নিন। এতে সে দায়িত্ব নিতে শিখবে এবং মনে করবে তার মতামতের গুরুত্ব আছে।
৫। স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
একসঙ্গে সময় কাটানোর সময় স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকুন। এই সময়টা যেন শুধুই আপনারা দু’জনের হয়। অফিসের কাজ থাকলে তা মিটিয়ে নিন আগেই।
একজন অভিভাবিক হিসেবে যদি চান, আপনার ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক জীবনভর একই রকম ঘনিষ্ঠ থাকুক, তাহলে এখন থেকেই এই অভ্যাসগুলিতে যোগ দিন। অভ্যস্ত করুন খোলা মনে কথা বলা, একসঙ্গে হাসা এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখা। এতে সম্পর্ক মজবুত হবে।