বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Naboborsho Across India: কোথাও গুড় চাওয়াল, কোথাও বা তিল পিঠে, নববর্ষে দেশের কোথায় কী খাওয়ার রীতি জানেন
পরবর্তী খবর
Bangla Naboborsho 1432: বাংলা নববর্ষ শুধু যে বঙ্গদেশেই পালিত হয়, তা নয়। গোটা দেশেই বিভিন্ন নামে পালিত হয় এই নতুন বছর শুরুর উৎসব। একই দিনে না হলেও একদিন আগে বা পরে এই উৎসব দেশের বিভিন্ন অংশে পালিত হয়। দেশের নানা অংশে এদের নামও নানাবিধ।
কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের নভরেহ
চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম দিনে পালিত হয় নভরেহ। নতুন সূচনা উপলক্ষে এই দিন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মধ্যে থাল ভরুন নামে একটি রীতি প্রচলিত। একটি বড় থালায় গোটা আখরোট, খোসা, চিনি, লবণ, চাল, ফুল, জন্থরি (ক্যালেন্ডার), আয়না, দই, রুটি, কিছু ভেষজ, অল্প রান্না করা ভাত, কলম এবং কালির পাত্র দিয়ে সাজানো হয়। এই থাল (থালা) আগের রাতে তৈরি করা হয় এবং পরের দিন সকালে প্রথমেই যে জিনিসটি নজরে পড়ে তা হল এটি। রুটি এবং রান্না করা ভাত পরে পাখিদের খাওয়ার জন্য বাইরে রাখা হয়।
পাঞ্জাবের বৈশাখী
বৈশাখী উৎসবের মিষ্টি খাবার হল গুড় কে চাওয়াল এবং গুড় কি খির । মূল খাবার হিসেবে পিন্ডি ছোলে এবং কড়ি চাওয়াল থাকে । গুড় চাওয়ালের আরেকটি রূপ হল মিঠে চাওয়াল, শুকনো ফল দিয়ে ভরা এবং গুড়ের পরিবর্তে চিনি দিয়ে মিষ্টি করা।
মহারাষ্ট্রের গুড়ি পাড়োয়া
মহারাষ্ট্রের নববর্ষ গুড়ি পাড়োয়া নামে পরিচিত। এই দিনের বিশেষ খাবার পুরান পোলি। গুড় বা চিনি দিয়ে ভরা আটার পরোটা এবং উপর দিয়ে ছড়ানো ঘি, মারাঠি সম্প্রদায়ের নববর্ষের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও উৎসবের মেনুতে এই দিন থাকে জাফরান এবং ড্রাই ফ্রুট দিয়ে তৈরি শ্রীখণ্ড (উপরের ছবি), মাসালা রাইস, পুরি এবং আলু ভাজির একটি সুস্বাদু মধ্যাহ্নভোজ।
বাংলার নববর্ষ
তেজপাতার সুগন্ধযুক্ত, কাজু, কিশমিশ এবং চিনি বা গুড় দিয়ে মিষ্টি করা মাখা মাখা পায়েশ বেশ সুস্বাদু খাবার এদিনের। এছাড়াও নববর্ষের ভোজে লুচি, ছোলার ডাল, পাঁঠার মাংসের পদ, ইলিশের পদ, মুরগির কষা মাংসও থাকে। অনেক বাড়িতে শুক্তো, পোস্ত, পোলাও, ইত্যাদিও রান্না হয়ে থাকে।আরও পড়ুন - Bangla Naboborsho Halkhata: পয়লা বৈশাখেই কেন হালখাতা করার রীতি? কেনই বা খাতাটি মোড়া থাকে লাল শালুতে