এগ রিচুয়াল বা এগ ক্লিনসিং রিচুয়াল কারওর বা কোনওকিছুর মধ্যে থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করতে ও আধ্যাত্মিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করা হয়। এই প্রথায় তাঁর উদ্দেশ্যসিদ্ধি এবং মানসিক শুদ্ধির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। প্রার্থনা করার সময় শরীরের উপর একটি ডিম গড়িয়ে এই প্রক্রিয়াটি করার নিয়ম। তারপর ফলাফল দেখার জন্য ডিমটি এক গ্লাস জলে ভেঙে ফেলা হয়। আসুন, দেখে নেওয়া যাক, এগ রিচুয়াল কীভাবে ও কেন করা হয়।
এগ রিচুয়ালের উদ্দেশ্য
- কোনও কিছুর নেতিবাচক শক্তি বা আধ্যাত্মিক ভারসাম্যহীনতা দূর করা।
- ওই ব্যক্তিকে অন্যান্য নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত করা।
- কাউকে সুস্থ করে তোলা এবং তাঁর মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা।
আরও পড়ুন - যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার দিনকে ‘গুড’ বলা হয় কেন? কী বলছে গুড ফ্রাইডের আসল ইতিহাস
এগ রিচুয়ালের উপকরণ
- একটি টাটকা গোটা ডিম।
- এক গ্লাস জল।
- একটি সাদা মোমবাতি।
আরও পড়ুন - হার্টের রোগ বাড়ছে হিমোফিলিয়া রোগীদের মধ্যেও! সেরা চিকিৎসা কোন পথে?
এগ রিচুয়াল করার নিয়ম
প্রথমে সাদা মোমবাতিটি জ্বালিয়ে নিন। এবার ডিমটি এক হাতে ধরুন এবং শুদ্ধিকরণের জন্য আপনার উদ্দেশ্যটি মনে মনে বা ধীরে ধীরে মুখে আওয়াজ করে বলুন। কারওর নেতিবাচক শক্তি দূর করতে হলে যেমন বলতে পারেন— আমি সমস্ত ঐশ্বরিক শক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছি, যেকোনও নেতিবাচক শক্তিকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। এই কথাটি বলার সময় ডিমটি আলতো করে ওই ব্যক্তির শরীরের উপর ঘুরিয়ে দিন। মাথা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে পা পর্যন্ত এই পরিক্রমা হবে।
প্রচলিত বিশ্বাস, ডিমটি যখন ঘূর্ণায়মান হয় তখন এটি নেতিবাচক শক্তি শোষণ করে নেয়। এভাবে গড়িয়ে নেওয়ার পর ডিমটি গ্লাসে রাখা জলের মধ্যে ভেঙে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুমের চেহারা দেখে বোঝা যাবে, কোনও নেতিবাচক শক্তি শোষিত হয়েছে কিনা।
প্রার্থনা শেষে যা করবেন
সাধারণত, ডিম এবং জল প্রায়শই ফেলে দেওয়াই নিয়ম। অথবা এটি গ্লাসসমেত নির্দিষ্ট স্থানে (যেমন বিছানার নীচে) কিছু সময়ের জন্য রেখে দিতে পারেন। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন আপনি একটি নির্দিষ্ট প্রার্থনা, যেমন প্রভুর প্রার্থনা পাঠ করতে পারেন।