ঝপাঝপ লাফ। একবার দুবার নয়। একটানা পরপর ৫৫ বার লাফ দিলেন এই ব্যক্তি। শরীর চূড়ান্ত ফিট না থাকলে যা করতে গেলে রীতিমতো বেকায়দায় পড়তে হতে পারে। এমনকী গুরুতর চোটও লাগতে পারে। তবে শুধুই একটানা লাফ দিয়েছেন ব্যক্তিটি তা কিন্তু নয়। লাফ দিতে করে দেখালেন এক আজব কাজ। আর সে জন্যই নাম উঠে গেল গিনিসের পাতায়। কী এমন করছিলেন তিনি?
এদিন ইন্সটাগ্রামে গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তরফে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ব্যক্তিটি একবার করে লাফ দিচ্ছেন আর একটি করে মোমবাতি নিভে যাচ্ছে! মাটিতে বোতলের মুখে লাগিয়ে জ্বালানো ছিল মোমবাতিটি। লাফিয়ে পায়ের তালিতে সেই মোমবাতিই নিভিয়ে দিলেন ব্যক্তিটি। দেখা গেল প্রতিটি বোতলের দুইপাশে পা দিয়ে দাঁড়াচ্ছেন, লাফ দিচ্ছেন আর জুতোর শুখতলার মধ্যে তালি মারছেন। তাতেই নিভে যাচ্ছে মোমবাতি। একবার দুবার নয়, এইভাবেই ৫৫ লাফে মোট ৫৫টি মোমবাতি কয়েক মিনিটে নিভিয়ে দিলেন তিনি। সেই কেরামতিতেই গিনিস বুকে নাম উঠল তাঁর।
টুডুর ফিলিপস নামে ব্রিটেনের ওই ব্যক্তির কেরামতি গিনিসের ইন্স্টা অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়। সঙ্গে জানানো হয়, ন্যাশনাল ওয়াটার ফ্রন্ট মিউজিয়ামে ২০২০ সালের ১ মার্চ এই বিশেষ কেরামতি দেখাচ্ছিলেন টুডুর। সেই ভিডিয়ো দেখেই গিনিসের রেকর্ডে তাঁর নাম উঠল এবার।
২০২০ সালের হলেও সম্প্রতি ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেন টুডুর। গিনিসের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি শেয়ারের পরে প্রচুর লাইক ও শেয়ার পেতে থাকে ভিডিয়োটি। ইন্সটাগ্রামেই লাভ রিয়্যাক্টের সংখ্যা ছাড়ায় ১ লাখ। এছাড়়াও অসংখ্য কমেন্টে ভরে ওঠে ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশন।
তবে কেউ কেউ এই কেরামতিকে গিনিসে নাম তোলার যোগ্য বলে মনে করছেন না। এক নেটিজেন লেখেন, ‘এখন যে কেউ যা ইচ্ছে একটা কেরামতি দেখায়, তারপর গিনিসকে ডেকে বলে, আসো, তোমার জন্য একটি জিনিস আছে!’ আরেকজন একটু ভালোভাবে লেখেন, ‘আমার কথা খারাপভাবে নিও না কেউ, তবে এটা একটু প্র্যাকটিস করলেই যে কেউ পারবে।’ আরও এক নেটিজেন একটু মস্করা করেই লেখেন, ‘আপনি কী করে জানতে পারলেন যে এত ভালো একটি কেরামতি দেখাতে পারেন!
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক