গরমকাল মানেই বাজারে রাজত্ব করতে এসেছে গিয়েছে আম। আমের ‘ফ্যান, ফলোয়ার’ সংখ্যা নেহাত কম নয়! বছরের এই একটা মরশুমে, ল্যাংড়া থেকে আলফানসো, গোলাপখাস থেকে চৌসায় মন মজিয়ে নেওয়া যায়। তাই বাজারে আম দেখলেই অনেকেরই লোলুপদৃষ্টি তাতে গিয়ে পড়ে। তবে আম কেনার সময় কিছু ঠকে যাতে না যান, তাই কিছু দিক নিয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আম রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কি না, তা কী কী দেখে বুঝবেন?
বেকিং সোডা দিয়ে টেস্ট
জলে সামান্য বেকিং সোডা দিয়ে দিন। আর সেই জলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট আম ডুবিয়ে রেখে দিন। এবার আম জল থেকে বের করে নিন। তারপর তা ভালো করে ধুয়ে নিন। যদি দেখেন যে আমের রঙে বদল এসেছে, তাহলে আমটি পালিশ বা রাসায়নিকে পেকেছে ধরে নেওয়া যায়।
আমের খোসার রঙ
রাসায়নিকে পাকা আমের রঙ পর পর সব এক হয়। ফলে আমের খোসার রঙ দেখলেই তা ধরা যায়। প্রাকৃতিকভাবে আম পাকলে যা রঙ হয়, তার থেকে বেশি গাঢ় রঙ হয় পাকা আমে।
আমের গন্ধ
প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের গন্ধ আলাদা হয়। আর রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমের গন্ধ একটু অন্যরকমের হয়।
দাগ
প্রাকৃতিক আমগুলিতে খোসার বাইরে সেভাবে দাগ থাকে না। থেঁতলানো আম হলে, তার কথা আলাদা! তবে বলা হচ্ছে, যদি আমের গায়ে খুব বেশি দাগ থাকে, তাহলে তা কেনা থেকে বিরত থাকা ভালো। অনেক সময় রাসায়নিক ইঞ্জেক্ট করার জেরেও আমের খোসার ওপর দাগ থাকতে পারে।
জলে ফেলে দেখুন
বলা হচ্ছে, আম যদি জলে ফেলার পর তা সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যায়,তাহলে তা স্বাভাবিকভাবে পাকানো। তবে তা জলে ভাসলে ধরে নেওয়া যেতে পারে তা কৃত্রিমভাবে পাকানো।
স্বাদ
প্রাকৃতিক আমের স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো হয়। তবে জোর করে রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম খেলেই বোঝা যায়, তার স্বাদ অদ্ভুত হয়। অনেক সময় রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম ফ্যাকাশে ধরনের হয়।
(এই প্রতিবেদনের তথ্য সাধারণ মান্যতা নির্ভর। বিশদ জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)