পহেলগাঁওতে নিরীহ পর্যটক সহ এক স্থানীয় কাশ্মীরির ওপর জঙ্গি হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে অবনতি এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়েছেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না। এরই সুর গতকাল ছিল দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠে যদিও তাঁরা কেউই পাকিস্তানের নাম নেননি।
অন্যদিকে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে তুমুল বিষোদ্গার শুরু হয়ে গিয়েছে। এক পাক মন্ত্রী সদ্য রাত ২ টোয় প্রেস কনফারেন্স করে দাবি করেন, ভারত তাঁদের ২৪-৩৬ ঘণ্টায় হামলা করতে চলেছে বলে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের এক প্রাক্তন সেনা কর্তা ফজলুর রহমান দাবি করেছেন, যদি ভারত পাকিস্তানে হামলা করে, তাহলে বাংলাদেশের উচিত, ভারতের উত্তর পূর্বের ৭ রাজ্যে হামলা করা। তাঁর এই মন্তব্য ঢাকাকে ফেলেছে অস্বস্তিতে!
বাংলাদেশের সেনার প্রাক্তন অফিসার মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএলএম ফজলুর রহমান সদ্য তাঁর এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে বক্তব্য রেখেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন,'ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিৎ হবে উত্তর পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেয়া। এব্যাপারে চিনের সাথে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।' উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা আমলের পর থেকে বাংলাদেশে এককালে গণহত্যার নেপথ্যে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা ঘনিষ্ঠ হয়েছে বাংলাদেশের। বর্তমানে বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের আমলে ইসলামাবাদ- ঢাকা বাণিজ্যও বেশ অগ্রগতি পেয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সেনার প্রাক্তন কর্তার এই বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি নিজের অবস্থান জানিয়ে দিল ঢাকা।
( বৃষ সহ একঝাঁক রাশির ভাগ্য ঘুরবে মে মাসের শেষ থেকে! দেবগুরু, চন্দ্রের কৃপা পাবেন কারা?)
( সত্যিই কি নীতা আম্বানির প্রিয় চায়ের কাপ দাম এই এত্ত লাখ টাকা? Report চমকে দিচ্ছে!)
বাংলাদেশের প্রেস সেক্রেটারি টু চিফ অ্যাডভাইজার শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা ফজলুর রহমান বক্তব্য একেবারেই তাঁর ব্যক্তিগত। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন,' বিডিআর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএলএম ফজলুর রহমানের বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত।' ঢাকার বক্তব্য, অন্তর্বর্তী সরকার তাঁর বক্তব্যকে কোনও ভাবে সমর্থন করে না। মহম্মদ ইউনুস সরকারের এই প্রতিনিধির বার্তা,বাংলাদেশ যেমন নিজের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে, তেমনই বাংলাদেশ অন্যান্য সমস্ত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে। আর প্রতিদানে ঠিক সেই সম্মানই অন্য দেশগুলির থেকে পাওয়ার আশা রাখে। শফিকুল আলম তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন,'মেজর ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত মন্তব্যে বাংলাদেশ সরকারকে টেনে আনা উচিত নয়।' প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ইনডিপেনডেন্ট এনকোয়ারি কমিশনের চেয়ারপারসন পদে রয়েছেন বাংলাদেশের এই প্রাক্তন সেন কর্তা ফজলুর রহমান।