অমানবিকতার ভয়ঙ্কর নজির। কেউ এতটা হৃদয়হীন কীভাবে হতে পারেন! এক মহিলার মর্মান্তিক কর্মকাণ্ড দেখে এমনটাই বলছে নেটিজেন। এবং তাঁর এই কাজ বেআইনি বলে শনাক্ত করে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করেছে। এমনকি ওই মহিলার সঙ্গে থাকা আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনেকেই নিজেদের পোষা প্রাণীদের সন্তানের মতো ভালোবাসেন। কেউ কেউ তাদের বাজারে পাওয়া খাবার, বিশেষ খাবার খাওয়ান, সকালে হাঁটার জন্য নিয়ে যান। আবার অনেক আছেন, যাঁরা গৃহপালিত বা বিপথগামী প্রাণী, তাদের দেখেই মারধর করে, তাদের হত্যা করে বা তাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। তাদের হয়রানি করে। এদিন এমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।আসলে, এদিন ওই মহিলার দু'টি কুকুরছানাকে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ব্যাপক ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
- ভাইরাল ভিডিয়োতে কী দেখা গিয়েছে
ঘটনাটি বিদেশের। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একজন মহিলা দুরন্ত গতিতে এগিয়ে আসছেন একটি ডাস্টবিনের দিকে। হাতে ধরে রয়েছেন একটি বাচ্চা কুকুরছানাকে। অন্য একটি কুকুর তাঁর পাশে হাঁটছে। কোলে থাকা ছানাটিকে ধরে, ডাস্টবিনের কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিয়েছিলেন এরপর। তারপরে পায়ের কাছে থাকা অন্য কুকুরটিকেই ছুঁড়ে ফেলে দেন ডাস্টবিনে।
- ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল
শেয়ার হওয়ার পর থেকে ভিডিয়োটি বেশ কিছু লাইক ও কমেন্ট সংগ্রহ করেছে। ভিডিয়োটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম জুড়ে পুনরায় শেয়ারও করা হচ্ছে। একজন লিখেছেন, অনুগ্রহ করে এই ধরনের নিষ্ঠুরতার জন্য কঠোর জরিমানা করুন। অন্যজন একজনের প্রশ্ন, মহিলাটিকে গ্রেফতার করার সঙ্গে সঙ্গেই কি মুক্তি দেওয়া হয়েছে? তৃতীয় জন আবার বলেছেন, যারা ডাম্পস্টার থেকে প্রাণীগুলোকে বের করে এনেছেন এবং সেন্ট ল্যান্ড্রি প্যারিশ শেরিফ অফিসকেও ধন্যবাদ, এই বিষয়ে আপনাদের প্রচেষ্টার জন্য!
বলা বাহুল্য, শুধু বিদেশে নয়, এমন মর্মান্তিক ঘটনা দেশেও ঘটেছে। গত মে মাসের ঘটনা এটি। রিপোর্ট অনুসারে, এটি গুরুগ্রাম সেক্টর ৫৪-এর অর্কিড গার্ডেন সোসাইটির ঘটনা।একটি পোষ্য কুকুরকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে বেরোচ্ছিল ওয়াকার। লিফটের দরজা বন্ধ হতেই, অবলা প্রাণীটির উপর শুরু করেছিল অকথ্য অত্যাচার। কুকুরটির গলায় বেল্ট বাঁধা ছিল। ওই ওয়াকার কুকুরটির মুখের উপর প্রায় ২০ বার আক্রমণ করেছিল। এ ছাড়া তাকে হাত দিয়েও আঘাত করেছিল। পুরো ঘটনাটি জানাজানি হতেই একইভাবে শাস্তির দাবিও জানিয়েছিলেন নেটিজেনরা। যদিও কুকুরটির মালিক ওয়াকারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেননি বরং তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন।