যতই মাছে ভাতে বাঙালি হোক না কেন, মাংস পাতে পড়লে কিন্তু একেবারেই ‘না’ নেই বাঙালির। মুরগির মাংস তো বটেই, খাসির মাংস খেতেও বেশ ভালোবাসে বাঙালিরা। আর পুজো হলে তো কথাই নেই। নবমী মানেই মটন মাস্ট। কিন্তু দুর্গাপুজোয় যে সে মটন খাওয়াতে চলবে না, তাই আপনার জন্য নিয়ে আসা হলো চম্পারণ মটন বা হান্ডি মটনের রেসিপি।
চম্পারণ মটন তৈরি করার উপকরণ:
এটি তৈরি করতে গেলে আপনার লাগবে এক কেজি পাঁঠার মাংস, ৭টি মাঝারি মাপের পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা, কাজু-কিসমিস বাটা, রসুনের কোয়া ৭টি, টক দই ৫০ মিলিগ্রাম, জিরে বাটা, কাঁচা লঙ্কা, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, তেজপাতা, দারচিনি, ছোট এলাচ, পরিমাণ মতো সরষের তেল এবং স্বাদমতো নুন।
(আরও পড়ুন: পুজোর ক'দিন জিম যাওয়া হবে না? বাড়িতেই মেনে চলুন এই ওয়ার্ক আউট রুটিন)
চম্পারণ মটন তৈরি করার পদ্ধতি:
প্রথমে বাজার থেকে মাংস কিনে এনে ভালো করে ধুয়ে একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে জল ঝরানোর জন্য। এবার একটি কড়াই নিয়ে তাতে সরষের তেল এবং ঘি গরম করতে হবে। তেল এবং ঘি গরম হয়ে গেলে তাতে দিয়ে দিতে হবে পেঁয়াজ। বেশ কিছুক্ষণ পেঁয়াজ নাড়াচাড়া করুন যতক্ষণ না সেদিন লাল হয়ে যাচ্ছে।
পেঁয়াজ যতক্ষণ ভাজা হচ্ছে ততক্ষণ মসলাগুলি মাংসের সঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিন ৪০ মিনিট। অন্যদিকে পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে সেটিও একটি পাত্রে তুলে রেখে দিন। এবার একটি মাটির হাঁড়ি নিয়ে উনুনে বসান। প্রথমে দু চামচ সরষের তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে দিয়ে দিন ম্যারিনেট করা মাংস।
(আরও পড়ুন: কেন পুজো শুরুর আগে বোধনের নিয়ম? কী বিশেষত্ব এই প্রথার?)
মাংস সামান্য নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিন ভেজে রাখা পেঁয়াজ। পেঁয়াজ ভাজার পর কড়াইয়ের মধ্যে যে অতিরিক্ত তেল এবং ঘি ছিল সেটাও দিয়ে দিন হাঁড়ির মধ্যে। এবার হাঁড়ির মুখ আটা দিয়ে বন্ধ করে দিন। ২ ঘন্টা আঁচে রেখে দিন হাঁড়ি, যাতে মাংস ভালো করে সেদ্ধ হয়ে যায়।
২ ঘন্টা পর হাঁড়ির মুখ থেকে আটা সরিয়ে দেখে নিন মাংস ভালো করে সেদ্ধ হয়েছে কিনা। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলেই গরম গরম পরিবেশন করুন চম্পারণ মটন। ‘চম্পারণ’ নামটি বিহারের চম্পারণ জেলা থেকে এসেছে যেখানে মাটির হাঁড়িতে এইভাবে বানানো হয় পাঁঠার মাংস। মূলত দম দিয়েই বানানো হয় এই মাংসটি, ঠিক যেমন বিরিয়ানি তৈরি করা হয়।