এ কেমন অদ্ভুত আকাশ। হলুদ, গোলাপি রং ছড়িয়ে ছিটিয়ে চারিদিকে। আকাশে অদ্ভুত আলোর দেখা। চমকে গিয়েছেন স্থানীয়রা। এমনটা কীভাবে সম্ভব। প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই।
আসলে এক বিরল জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনা ঘটে গিয়েছে বেঙ্গালুরুতে।
গত কয়েক দিন ধরে এই টেক শহরের আকাশে এমন কিছু বিরল ঘটনা ঘটছে, যা দেখার জন্য মানুষ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠছে। দেখতে রামধনুর মতো হলেও বাস্তবে এটা অন্য কিছু। রামধনুর চেয়েও অনেক গাঢ় এই অদ্ভুত আলোয় মিশে রয়েছে রহস্যের গন্ধ।
আরও পড়ুন: (Durga Puja 2024 Recipe: পুজোয় বাড়িতে জমাটি আড্ডার প্ল্যান? সঙ্গে থাক এই মুখরোচক স্ন্যাকস, রইল রেসিপি)
কেউ কেউ এটিকে বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা বলছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রঙিন ঘটনার একটি ছবি শেয়ার করে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘বেঙ্গালুরুর আকাশটা জাদুময়! এই ঘটনাকেও কী বলে?’
গত কয়েক দিনে, বেঙ্গালুরুর মানুষ এই ধূমকেতুর, অসংখ্য আশ্চর্যজনক ছবি তুলেছেন। কেউ কেউ এটিকে আকাশে একটি উজ্জ্বল তারা হিসাবে দেখেছেন, অন্যরা রঙিন মেঘ ভেবে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: (Durga Puja 2024: কন্যারূপে মা এসেছিলেন শাঁখা কিনতে, স্বপ্নাদেশ পেয়েই শুরু হয় মালদার এই পুজো)
এটি আদতে কীসের আলো
বিজ্ঞানীরা বলেছেন এটা আসলে আকাশের ধূমকেতু। হয়ত বেঙ্গালুরুর উপর দিয়ে যাওয়া কোনও ধূমকেতুর যাওয়ার সময় এই রঙিন আলো ছড়িয়ে গিয়েছে। দ্য হিন্দুর রিপোর্ট অনুযায়ী, ধূমকেতুটিকে বলা হয় ধূমকেতু সি/২০২৩ এ৩ (Tsuchinshan-ATLAS)। এটি একটি বিরল ধূমকেতু যা সবেমাত্র পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছে।
হ্যালির ধূমকেতুর মতো নিয়মিত ধূমকেতু নয় এটি। ধূমকেতু সি/২০২৩ এ৩ আসলে কিছুটা অপ্রত্যাশিত, এর আসা যাওয়ার ঠিক নেই, যা এটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তোলে। বেঙ্গালুরুর একজন জ্যোতির্পদার্থবিদ ব্যাখ্যা করেছেন যে এই ধরনের ধূমকেতু প্রধানত আমাদের সৌরজগতের বাইরে থেকে আসে।
আরও পড়ুন: (RG Kar: বিয়ের কার্ডে ‘আরজি কর বিচার চায়’ লিখলেন শুভঙ্কর-শ্রাবন্তিকা! হবু দম্পতিকে কুর্নিশ নেটপাড়ার)
৮০,০০০ বছরে এই প্রথম
ধূমকেতু সি/২০২৩ এ৩, চিনের পার্পল মাউন্টেন অবজারভেটরিতে ৯ জানুয়ারী, ২০২৩-এ পাওয়া গিয়েছিল।
জ্যোতির্চিত্রবিদ উপেন্দ্র পিনেলি বলেছেন, 'এই ধূমকেতু আমাদের সৌরজগতে প্রতি 80,000 বছরে একবার আসে। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১২৯.৬ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে এবং বর্তমানে সেক্সটান নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত'।