কন্ডোমের নিয়মিত ও সঠিক ব্যবহার, এসটিআই এবং এসটিডি ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধের অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি। আন্তর্জাতিক কন্ডোম দিবসে বিশ্বজুড়ে কন্ডোমের ব্যবহার বৃদ্ধি, যৌন সম্পর্ক বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার করা হয়।
বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই জানি কন্ডোম জন্মনিয়ন্ত্রণ তথা নিরাপদ যৌন সম্পর্কের অনন্য উপায়। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং যৌনরোগ (এসটিআই) প্রতিরোধে কনডোমের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌনসম্পর্কের সময় লেটেক্স বা পলিইউরেথান কনডোম ব্যবহার সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে বা যে কোনও যৌনরোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অসুরক্ষিত যৌনসম্পর্কের কারণে গত দশকে দেশে ১৭ লক্ষেরও বেশি মানুষের এইচআইভি সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন।
এইচআইভি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে। যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এইচআইভি থেকে এইডস রোগের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। দূষিত রক্ত, বীর্য বা যোনি স্রাবের সংস্পর্শে ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে। এইচআইভির কোনও প্রতিকার নেই, তবে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই, যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। আর এই সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক কন্ডোম দিবস পালিত হয়।
আন্তর্জাতিক কন্ডোম দিবস প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারিই কেন পালিত হয়? এই প্রশ্ন উঠতে পারে। কৌশলগতভাবে ভালোবাসা দিবসের আগের দিন, দায়িত্বশীল এবং নিরাপদ যৌন সম্পর্কের বার্তা জোরদার করার জন্যই ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় আন্তর্জাতিক কনডোম দিবস। ২০০৯ সালে, এইডস হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন (AHF) নিরাপদ যৌন চর্চা প্রচার এবং এইচআইভি বা এইডস এবং যৌনরোগ (এসটিডি) প্রতিরোধে কন্ডোম ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক কনডোম দিবস চালু করে।