স্ট্রেস থেকে অকালে চুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চুলের রঙের জন্য দায়ী মেলানিন উৎপাদনকারী কোষ অর্থাৎ মেলানোসাইট। মেলানিন উৎপাদন কমে গেলে চুল পাকতে শুরু করে। ধূমপানের অভ্যাসও চুল অকালে পেকে যাওয়ার কারণ। এছাড়া, দূষণ এবং অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শ চুলের কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে মেলানোসাইট কোষের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় এবং চুল ধীরে ধীরে সাদা হতে থাকে।
উপরোক্ত কিছু বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে হলেও, চুলকে সুস্থ, কালো এবং অকালে পেকে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে নীচে উল্লেখিত সুপারফুডগুলি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এগুলি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং নিয়মিত খেলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
আরও পড়ুন - Weight Loss tips: রান্নাঘরে থাকা এই ৩ জিনিসই মেদ ঝরানোর মোক্ষম অস্ত্র! রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
পালং শাক: পালং শাকে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলি চুলের ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করে, যা চুলের রঙ বজায় রাখতে এবং অকালপক্কতা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আখরোট: আখরোট বায়োটিনে সমৃদ্ধ, যা চুলের টিস্যু মজবুত করে এবং প্রাকৃতিক রঙ বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আমলা: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলা কোলাজেন উৎপাদন করে এবং মেলানিন বৃদ্ধি করে।
তিলের বীজ: তিলের বীজে থাকা লৌহ এবং জিঙ্ক মেলানিন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা চুলের প্রাকৃতিক রঙ বজায় রাখতে সহায়ক।
স্পিরুলিনা: নীল-সবুজ শৈবাল স্পিরুলিনা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা সামগ্রিকভাবেই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
কারি পাতা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বিতে ভরপুর কারি পাতা চুলের ফলিকলকে পুষ্ট করে এবং বার্ধক্যকে স্তিমিত করে।
কালো তিলের বীজ: এই বীজগুলি লৌহ এবং তামায় সমৃদ্ধ, যা মেলানিন উৎপাদনে সহায়তা করে। চুলের রঙের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মিষ্টি আলু: বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা স্কাল্পকে ভালো রাখে।
গাজর: গাজরেও বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে, যা চুল অকালে পেকে জাওয়াকে আটকায়।
আরও পড়ুন -Anti Ageing Tips: ঘাড়ের বলিরেখা দূর করবে এই ফল! নিয়ম করে মাখুন এই বিশেষ পেস্ট
বাদাম: বাদাম বায়োটিনে সমৃদ্ধ, যা কেরাটিন উৎপাদন করে চুলের প্রাকৃতিক রঙ বজায় রাখতে সহায়ক।
উপরোক্ত সুপারফুডগুলি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখা এবং অকাল পক্কতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুস্থ জীবনযাত্রা এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস চুলের প্রাকৃতিক রঙ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।