মসজিদে লাউডস্পিকার লাগিয়ে আজান চলবে না। মহারাষ্ট্রের নবনির্মাণ দলের নেতা রাজ ঠাকরে এমনই ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছেন। এর জেরে সরগরম মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। এর মাঝেই জনপ্রিয় গায়িকা অনুরাধা পড়োয়াল আজান বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন। কয়েক শো হিট গানের নেপথ্য কন্ঠশিল্পী দাবি করেন আজানের জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহারে নিঃসন্দেহে প্রতিবন্ধকতা লাগানো উচিত। তাঁর মতে ভারতে এইভাবে আজান দেওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। জি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে গায়িকা বলেন, ‘আমি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছি। আমি এমনটা কোথাউ দেখিনি, আমি কোনও ধর্মের বিরোধিতা করছি না, ভারতে জোরজরবদস্তি এই বিষয়টায় উৎসাহ দেওয়া হয়। এর জেরে অন্য ধর্মের মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, ওরা করলে আমরা করতে পারব না কেন?’গায়িকা আরও যোগ করেন, ‘আমি মধ্য প্রাচ্যের দেশেও যাতায়াত করি। ওখানে লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যখন মুসলিম দেশগুলিতে এই বিষয়টায় উৎসাহ দেওয়া হয় না, তাহলে ভারতে কেন?’ অনুরাধা পড়োয়াল বলেন, ‘হয়ত আগামিদিনে এই প্র্যাক্টিস জারি থাকলে আমরা দেখব এবার থেকে লাউডস্পিকারে হনুমান চল্লিশা চলছে’। গায়িকার আশঙ্কার এর জেরে সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, যা একেবারেই কাম্য নয়। সংগীত শিল্পী আরও বলেন, দেশের যুবক সম্প্রদায়ের উচিত ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা এবং প্রবীণদের দায়িত্ব সেই সংস্কৃতিকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করা। এই প্রথম প্রকাশ্যে কোনও সংগীত শিল্পী লাউডস্পিকারে আজান দেওয়ার বিরোধিতা করেননি। ২০১৭ সালে সোনু নিগম প্রথম মুম্বইতে কাকভোরে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন। এর জেরে চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল সোনুকে। পরে শুধু ওই টুইট নয়, নিজের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেন সোনু নিগম। গত মাসেই মহারাষ্ট্রে ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে উদ্ধব সরকার। অনুমতি ছাড়া বাজানো যাবে না লাউডস্পিকার। অন্যদিকে শুক্রবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে আজানের জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহার সংবিধানের মৌলিক অধিকার নয়।