গত ২ ডিসেম্বর হরিদ্বারে একটি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন কৌতুক অভিনেতা সুনীল পাল। অনুষ্ঠানের ৫০ শতাংশ অর্থ তিনি অগ্রিম পেয়েছিলেন। বিমানবন্দরে গাড়ি পাঠানো হয়েছিল। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল কিন্তু আচমকাই তাঁকে অন্য গাড়িতে বসতে বলা হয়েছিল, তারপরেই শুরু হয়েছিল বিভীষিকার পর্ব।
অন্য গাড়িতে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই অভিনেতা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি কিডন্যাপ হয়েছেন। ৭-৮ জন ঘিরে রেখেছিল তাঁকে। প্রথমে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হলেও পরে ৮ লক্ষ টাকায় রাজি হয় অপহরণকারীরা। কোনও রকমে সেখান থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন সুনীল। প্রাণে বেঁচে গেলেও সেই বিভীষিকাময় রাতের কথা আজও ভুলতে পারেননি সুনীল।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ বছর পার, ইরফানের মৃত্যুশোকে আচ্ছন্ন হয়েই স্বামীকে নিয়ে বই লিখছেন সুতপা! সিনেমাও বানাবেন?
আরও পড়ুন: তুঙ্গে শুভমনের সঙ্গে বিয়ের জল্পনা! ঋদ্ধিমা বললেন, 'ভরে ভরে শুভেচ্ছা পেয়েছি'
সম্প্রতি E Times এর সাথে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি অপহরণকারীদের সঙ্গে ২২ ঘন্টা কাটিয়েছিলাম, নিঃসন্দেহে ওই সময়টা আমার কাছে বিভীষিকাময় ছিল। ওরা আমাকে বলেছিল, আমার মোবাইলে আমার পরিবার এবং বন্ধুদের নম্বর যদি আমি তাদের না দিই, তাহলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে আমার। আমি এখনও ট্যাক্সি বা অচেনা গাড়িতে উঠতে ভীষণ ভয় পাই। কোনও অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলে সহজে ধরি না আমি।
পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সুনীল বলেন, মুম্বই পুলিশ আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছিল সেই সময়। প্রথমে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চাইছিলাম না কিন্তু পুলিশের সহযোগিতায় আমি পরে রাজি হয়ে যাই। ১০ দিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বই পুলিশ। তবে শুধু মুম্বই পুলিশ নয়, আমি ইউপি পুলিশ এবং যোগী সরকারের কাছেও ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন: খালি দ্বিতীয় ভাগ নয়, আসবে অ্যানিম্যাল ৩-ও! 'ট্রিলজি' জল্পনায় সিলমোহর রণবীরের
সুনীল আরও বলেন, আমার এই ঘটনাটি শিল্পী জগতের সকলের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলেছে। আমি চাই না আর কারোর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটুক। কারোর ফোন ধরার আগে বা কোনও অচেনা গাড়িতে ওঠার আগে বারবার নিশ্চিত হয়ে নিন যে সেটি আপনার জন্য সুরক্ষিত কিনা। প্রয়োজনে পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে একটি Whatsapp গ্রুপ তৈরি করুন এবং কোনও সমস্যা হলেই সেখানে জানান।