২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল আমদাবাদে ম্যাচ ছিল গুজরাট টাইটানস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে কেকেআরের দরকার ছিল ২৯ রান। কলকাতার হয়ে ব্যাট হাতে ক্রিজে ছিলেন উমেশ যাদব ও রিঙ্কু সিং। গুজরাট শেষ ওভারে বল করতে পাঠায় যশ দয়ালকে।
দয়ালের প্রথম বলে ১ রান নেন উমেশ যাদব। ওভারের শেষ ৫টি বলে টানা ৫টি ছক্কা মেরে কেকেআরকে কার্যত হারা ম্যাচে জয় এনে দেন রিঙ্কু সিং। রিঙ্কুকে নিয়ে ধন্য ধন্য রব ওঠে। খাটো করে দেখা শুরু হয়ে যায় যশ দয়ালকে। পরের বছর গুজরাট আর দলে রাখেনি যশকে। তাঁকে দলে নেয় আরসিবি।
২০২৪ সালের ১৮ মে চিন্নাস্বামীতে ম্যাচ ছিল আরসিবি ও সিএসকের মধ্যে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৩৫ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। তবে তারা যদি শেষ ওভারে ১৭ রান তুলত, তবে আরসিবিকে টপকে প্লে-অফে চলে যেত সুপার কিংস। চেন্নাইয়ের হয়ে ব্যাট করছিলেন ধোনি ও জাদেজা। আরসিবি শেষ ওভারে বল তুলে দেয় যশ দয়ালের হাতে।
আরও পড়ুন:- RCB ম্যাচে ‘আউট না হয়েও’ মাঠ ছাড়তে হল ব্রেভিসকে, DRS চেয়েও কেন পেলেন না?
যশের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন ধোনি। দ্বিতীয় বলে ধোনিকে আউট করেন দয়াল। ব্যাট করতে নামেন শার্দুল ঠাকুর। তিনি ওভারের তৃতীয় বলে কোনও রান করতে পারেননি। চতুর্থ বলে ১ রান নেন। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে জাদেজাকে কোনও রান সংগ্রহ করতে দেননি দয়াল। ওভারে ৭ রান ওঠে। ফলে নেট রান-রেটের নিরিখে চেন্নাইয়ে টপকে প্লে-অফে চলে যায় আরসিবি। একবছর আগে ম্যাচ হারিয়ে ভিলেন হওয়া যশ দলায় সেবার নায়কের মর্যাদা আদায় করে নেন।
২০২৫ সালের ৩ মে সেই চিন্নাস্বামীতেই ফের সম্মুখসমরে নামে আরসিবি ও সিএসকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৫ রান। অর্থাৎ, কার্যত আগের বছরের মতো পরিস্থিতি ছিল। এবারও ব্যাট হাতে ক্রিজে ছিলেন সেই ধোনি ও জাদেজা এবং এবছরও শেষ ওভারে যশ দয়ালকে বল করতে পাঠায় আরসিবি।
যশের প্রথম বলে ১ রান নেন ধোনি। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গল নেন জাদেজা।তৃতীয় বলে ধোনিকে আউট করেন দয়াল। গত বছরেও শেষ ওভারে ধোনিকে আউট করেছিলেন তিনি। ওভারের চতুর্থ বল নো হয় এবং সেই বলে ছক্কা মারেন শিবম দুবে। পুনরায় চতুর্থ বল করতে এসে দুবেকে মোটে ১ রান নিতে দেন যশ। পঞ্চম বলে ১ রান নেন জাদেজা এবং শেষ বলে সিঙ্গল নেন দুবে। ওভারে ১২ রান ওঠে এবং ম্যাচ জেতে আরসিবি।
সুতরাং, পরপর ২ বছর চিন্নাস্বামীতে সিএসকের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ধোনি-জাদেজার মতো সুপারস্টারদের আটকে রেখে আরসিবিকে ম্যাচ জেতান যশ দয়াল। রিঙ্কুর ধাক্কা সামনে যশ কীভাবে নিজেকে ডেথ ওভার স্পেশালিস্টে পরিণত করেছেন, সেটা বোঝা গেল ফের। যদিও অন্য দিক দিয়ে দেখলে বলতে হয় যে, রিঙ্কু সিং যেটা করতে পেরেছিলেন, পরপর ২ বছর ধোনি-জাদেজারা সেই কাজ করতে ব্যর্থ হন।