কদিন আগেই টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের বাড়ির আশেপাশে কিছু পোস্টার লক্ষ করা যায়। যেখানে তাঁকে সামাজিকভাবে বয়কট করার দাবি তোলা হয়। বিগত কয়েকবছর ধরেই প্রতিবাদের মুখ তিনি। তা সে শাসক দলের নেতাদের দুর্নীতি হোক, শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হোক বা আরজিকরের নির্যাতিতার হয়ে পথে নামা, কেরিয়ারের তোয়াক্কা না করেই সরব হয়েছেন বারংবার। বলাইবাহুল্য তাতে সমাজের বিশেষ একটা অংশের মানুষের চক্ষুশূল তিনি।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শ্রীলেখা জানান যে, তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন কুরুচিকর পোস্ট, বয়কট করার ডাক দেওয়া সেই পোস্টার সরিয়ে ফেলতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন শ্রীলেখা।
আর বৃহস্পতিবার শ্রীলেখার পাশে দাঁড়াল আদালত। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেই মামলায় আদালত নির্দেশ দিয়েছে, তাঁর বাড়ির সামনের সব পোস্টার সরিয়ে ফেলতে হবে। বিচারপতি তীর্থাঙ্কর ঘোষের আদেশ অনুসারে, শ্রীলেখার নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত করবেন স্থানীয় পুলিশ। আর অিনেত্রীর বাড়ির আশেপাশে কোনো বিতর্কিত বা অসম্মাজনক পোস্টার থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে পুলিশকেই। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যমে কোনো কুরুচিকর মন্তব্য করা হলে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকে। ফের ডিসেম্বর মাসে হবে শ্রীলেখার মামলার শুনানি।
প্রসঙ্গত, ৯ অগস্ট অভয়ার ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন শ্রীলেখা। বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার অধরা। প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে ভাষণও দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই নেট দুনিয়ায় এবং সামাজিক মাধ্যমে ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয় শ্রীলেখাকে। তার কয়েকদিনের মধ্যেই শ্রীলেখাকে বয়কটের ডাক দিয়ে বাড়ির সামনে লাগানো হয় পোস্টার। সেই পোস্টারে লেখা হয় শ্রীলেখা মিত্রকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হোক।