সোহিনী গঙ্গোপাধ্যায়, সমাজ মাধ্যমের পাতায় তাঁকে চেনেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবাদে এবং একজন মেকআপ আর্টিস্ট হওয়ার জন্য সোহিনীকে চেনেন বহু মানুষ। সমাজ মাধ্যমের পাতায় প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু পোস্ট করে থাকেন সোহিনী।
কখনও ঘর সাজানোর ভিডিয়ো পোস্ট করেন, কখনও আবার নববধূদের সাজানোর ভিডিয়ো। অন্তঃসত্তাকালীন প্রতিটি মুহূর্ত তিনি উদযাপন করেছিলেন আনন্দের সঙ্গে। গর্ভাবস্থা চলাকালীন পেটে জগন্নাথ দেব এঁকে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন সোহিনী। কিন্তু এই এত আনন্দ, এত উচ্ছ্বাস সবকিছুই যেন মুহূর্তে মিলিয়ে গেল।
আরও পড়ুন: ‘ধূমকেতু’ ছবির আড়ালে লুকিয়ে এক অন্য গল্প, পরিচালকের পোস্ট দেখে চমকে উঠলেন সকলে
আরও পড়ুন: 'দুটো বাচ্চার মা...'! ধূমকেতু মুক্তি পেতেই শুভশ্রীকে নিয়ে এ কী বললেন দেব
মাতৃত্বের যে স্বাদ আস্বাদন করছিলেন তিনি, আসন্ন সন্তানকে নিয়ে যে স্বপ্ন বুনেছিলেন মনে মনে, তার সবটাই ভেঙে গেল এক লহমায়। সন্তানকে জন্ম দিলেন বটে, কিন্তু মা হওয়া আর হলো না। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমের পাতায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই খবরটি।
সোহিনীর এই দুঃসময়ে তাঁর পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রিয়জনেরা। এই কঠিন সময় খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে, এমনটাই প্রার্থনা করছেন সকলে। সোহিনীর এই কঠিন সময়ে পাশে থাকতে না পারলেও দূর থেকে সমবেদনা জানিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস।
নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শ্রুতি দাস বলেন, ‘এই মুহূর্তে আউটডোরে তাই সোহিনীর কাছে যেতে পারিনি। তবে অনিদার সঙ্গে কাল অনেক রাত পর্যন্ত কথা হয়েছে। প্রসবের সময় এই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে। সোহিনীর প্রাণ সংশয় ছিল কিন্তু এখন তা কেটে গিয়েছে। ঈশ্বর ওকে শক্তি দিক সব কিছু সহ্য করার। ও আমার পারিবারিক বন্ধু।’
আরও পড়ুন: ‘ধূমকেতু’ ছবির আড়ালে লুকিয়ে এক অন্য গল্প, পরিচালকের পোস্ট দেখে চমকে উঠলেন সকলে
আরও পড়ুন: 'দুটো বাচ্চার মা...'! ধূমকেতু মুক্তি পেতেই শুভশ্রীকে নিয়ে এ কী বললেন দেব
মাত্র কয়েকদিন আগেই শ্রুতির নতুন ধারাবাহিকের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছিলেন সোহিনী। বন্ধুর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘এত্ত খুশি তোর জন্য। আগামী প্রজেক্ট এর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। লাভ ইউ মানে সত্যি সত্যি লাভ ইউ। আর তুই সেটা জানিস।’ বন্ধুর শুভেচ্ছাবার্তায় সারা দিয়ে শ্রুতি লিখেছিলেন,' পাশে থাকিস সোনা।' তবে কে জানতো, এখন সোহিনীর পাশেই শ্রুতিকে থাকতে হবে ঢাল হয়ে। ভালো বন্ধু হয়ে।